Fake Vaccination

Kasba fake vaccination case: গত বছরও পুলিশি জেরার মুখোমুখি, ছেলে নকল আইএএস, তখনই বুঝেছিলেন দেবাঞ্জনের বাবা-মা

২০২০ সালে বিধাননগরের ইলেক্ট্রনিক কমপ্লেক্স থানায় দেবাঞ্জন দেবের বিরুদ্ধে প্রতারণার একটি মৌখিক অভিযোগ জমা পড়েছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০২১ ১২:৫১
দেবাঞ্জন দেব

দেবাঞ্জন দেব

ছেলে আইএএস নয়, আগে থেকেই জানতেন দেবাঞ্জনের বাবা এবং মা। গত বছরেও এক বার পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়েছিল কসবায় করোনার ভুয়ো প্রতিষেধক শিবির কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেবকে। তদন্তে উঠে এল এমনই তথ্য।

২০২০ সালে বিধাননগরের ইলেক্ট্রনিক কমপ্লেক্স থানায় দেবাঞ্জন দেবের বিরুদ্ধে প্রতারণার একটি মৌখিক অভিযোগ জমা পড়েছিল বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারী অফিসাররা। অভিযোগকারীর বক্তব্য ছিল, সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করেন দেবাঞ্জন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে দেবাঞ্জনকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছিল পুলিশ। সেই সময়েই ছেলের পেশা নিয়ে মা বন্দনা এবং বাবা মনোরঞ্জন দেবের সন্দেহ হয়। তার অব্যবহিত পরেই তাঁরা এ ব্যাপারে নিশ্চিত হন, ছেলে আসলে আইএএস-ই নন। বর্তমানে করোনা আক্রান্ত মনোরঞ্জন। বাড়িতেই নিভৃতবাসে রয়েছেন তিনি। রক্তচাপ এবং ডায়াবিটিসের সমস্যায় ভোগা প্রৌঢ় এখন কথা বলার মতো অবস্থাতেও নেই বলেই জানা গিয়েছে।

Advertisement

তদন্তে উঠে এসেছে আরও একটি তথ্য। গত বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে অশোক রায় নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে কসবার অফিসটি ভাড়া নিয়েছিলেন দেবাঞ্জন। ওই অফিসটির জন্য মাস গেলে ৬৫ হাজার টাকা গুনতে হত তাঁকে। এই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকেরা।

রবিবার রাতে দেবাঞ্জনের মাদুরদহের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, সেখান থেকে বেশ কিছু নথি ও স্ট্যাম্প পেপার উদ্ধার হয়েছে। বাড়ির চারদিকে যে সিসি ক্যামেরা লাগানো ছিল, তার ফুটেজও খতিয়ে দেখবে পুলিশ। দেখবে, কাদের আনাগোনা ছিল তাঁর বাড়িতে।

Advertisement
আরও পড়ুন