কুয়াশার চাদরে ঢাকা রাস্তা। আগামী কয়েক দিনও এই দৃশ্যই দেখা যাবে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। — ফাইল চিত্র।
দার্জিলিঙে ঘুরতে যাচ্ছেন? ভাগ্য প্রসন্ন থাকলে নতুন বছরের শুরুতেই পেতে পারেন তুষারপাত উপভোগ করার সুযোগ। বৃহস্পতিবার হালকা বৃষ্টি এবং তুষারপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিঙে। আগামী কয়েক দিন দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় সকালের দিকে থাকবে ঘন কুয়াশার চাদর।
বুধবার মরসুমের শীতলতম দিন কাটিয়ে ফেলেছে কলকাতা। বুধবার ভোরে কলকাতার পারদ নেমে আসে ১১ ডিগ্রিতে। চলতি মরসুমে তো বটেই, গত সাত বছরে ডিসেম্বর মাসে এমন শীত পড়েনি কলকাতায়। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে কলকাতার পারদ নেমেছিল ১০.৬ ডিগ্রিতে। তার পর থেকে এই প্রথম বার শহরের পারাপতন হয়ে ১১ ডিগ্রি স্পর্শ করল ডিসেম্বরে। বুধবার দিনের বেলা কলকাতার তাপমাত্রা ছিল ২০.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তা-ও স্বাভাবিকের চেয়ে ৫.৩ ডিগ্রি কম।
দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আগামী চার-পাঁচ দিনই কুয়াশা থাকবে। বৃহস্পতিবার ঘন কুয়াশার সতর্কতা রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান এবং পশ্চিম বর্ধমানে। গত কয়েক দিন ধরেই হাড় কাঁপানো শীত পড়েছে রাজ্যে। জেলায় জেলায় দাপট দেখিয়েছে শীত। একই সঙ্গে দাপট দেখিয়েছে উত্তুরে হাওয়াও। তবে নতুন বছরের শুরু থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে শীত কিছুটা কমবে। আগামী তিন দিনে দক্ষিণের জেলাগুলিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ধীরে ধীরে ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে। তার পরের কয়েক দিন অবশ্য বিশেষ হেরফের হবে না দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ায়।
দক্ষিণবঙ্গে শীত কিছুটা কমলেও উত্তরবঙ্গে এখনও জাঁকিয়ে শীত থাকবে। আগামী তিন দিন উত্তরের জেলাগুলিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় বিশেষ পরিবর্তন হবে না। তবে এর পরের চার দিন ধীরে ধীরে কমতে পারে শীত। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও সকালের দিকে কুয়াশার দাপট থাকবে। বৃহস্পতি এবং শুক্রবার দার্জিলিঙে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে দার্জিলিঙের পার্বত্য এলাকায় তুষারপাতও হতে পারে। থাকবে কুয়াশাও।