Russia-Ukraine War

৫০ হাজার রুশ সেনা ঘিরে ফেলছে উত্তর-পূর্ব ইউক্রেনের রাজধানী! কোণঠাসা জ়েলেনস্কির বাহিনী

২০২২ সালে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই দ্বিতীয় বার রাশিয়াকে এতটা আক্রমণাত্মক ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে। যুদ্ধের গোড়ায় ইউক্রেনের কিছু শহর দখল করেও পিছু হটেছিল রুশ ফৌজ।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২৫ ১৬:৩৬
Israel intercepts Houthi missiles from Yemen

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

সমুখ সমরে ৫০ হাজারেরও বেশি রুশ সেনা। ‘রিজ়ার্ভ বাহিনী’তেও প্রায় সমসংখ্যক। সেই সঙ্গে রয়েছে ড্রোন ও যুদ্ধবিমানের বহর। গত সপ্তাহে এই বিপুল সামরিক শক্তি নিয়ে উত্তর এবং পূর্ব ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করেছে রাশিয়া। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানাচ্ছে, তারা ইতিমধ্যেই উত্তর-পূর্ব ইউক্রেনের আঞ্চলিক রাজধানী সুমির ১৯ কিলোমিটার দূরে পৌঁছে গিয়েছে।

Advertisement

ইউক্রেনের দখল থেকে রুশ ভূখণ্ড কুর্স্ক পুনরুদ্ধারের পর চলতি মাসের গোড়া থেকে ভ্লাদিমির পুতিনের বাহিনী নতুন করে স্থলপথে আক্রমণ শুরু করেছে। পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস (ডনেৎস্ক এবং লুহানস্ক অঞ্চলকে একত্রে এই নামে ডাকা হয়) এলাকায় অধিকাংশ শহর-সহ ৫০ শতাংশেরও বেশি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে তারা। বস্তুত, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই দ্বিতীয় বার রাশিয়াকে এতটা আক্রমণাত্মক ভূমিকায় দেখা গিয়েছে।

ইউক্রেনের শীর্ষ সামরিক কমান্ডার জেনারেল ওলেকজ়ন্ডার সিরস্কি রুশ ফৌজের অগ্রগতির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘সংখ্যার জোরে ওরা আমাদের ছাপিয়ে গিয়েছে। আর সেই কৌশলই কাজে লাগিয়ে এলাকা দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে।’’ বস্তুত, স্থলযুদ্ধে এলাকা দখলের চিরাচরিত সামরিক কৌশলই এ ক্ষেত্রে ব্যবহার করছে রাশিয়া। ওই তত্ত্ব অনুযায়ী, আকাশপথে প্রাধান্য থাকলে শত্রুসেনার তুলনায় তিন গুণ বেশি বাহিনী নিয়ে আক্রমণ চালালে সাফল্য কার্যত নিশ্চিত।

যদিও প্রবলতর প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে এখনও ইউক্রেন ফৌজ মরণপণ প্রতিরোধ চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন, জেনারেল সিরস্কি। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের এলিট ইউনিটগুলিকে সুমির প্রতিরক্ষায় মোতায়েন করা হয়েছে। কয়েকটি ফ্রন্ট থেকে রুশ সেনা পিছুও হটেছে।’’ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির দফতর নিয়ন্ত্রিত গুপ্তচর সংস্থা ‘হার’-এর ‘স্পেশাল ফোর্সেস ইউনিট’ও সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে রুশ বাহিনীর হানায় জ়াপোরিজিয়া, খেরসনের মতো শহর হারানোর পরেও জ়েলেনস্কির বাহিনী তা পুনরুদ্ধার করেছিল। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্পের জমানায় কিভে মার্কিন সামরিক সাহায্য আসা বন্ধ হতেই সামরিক ভারসাম্যের পাল্লা রাশিয়ার দিকে অনেকটাই ঝুঁকে পড়েছে। ধারাবাহিক ড্রোন, বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মুখে পিছু হটতে হচ্ছে ইউক্রেন সেনাকে। তা ছাড়া, সংখ্যায় ভারী রুশ ফৌজ যুদ্ধক্ষেত্রের পরিধি গত এক মাসে প্রায় ১০০ কিলোমিটার প্রসারিত করেছে। ফলে তাদের মোকাবিলায় ‘ওয়ার ফ্রন্ট’ প্রশস্ত করতে হচ্ছে ইউক্রেন সেনাকেও। ফলে তাদের প্রতিরক্ষাব্যূহ দুর্বল হয়ে পড়ছে।

Advertisement
আরও পড়ুন