(সামনে) বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এবং ইনকিলাব মঞ্চের নিহত নেতা ওসমান হাদি (পিছনে)। — ফাইল চিত্র।
বাংলাদেশের তরুণ নেতা ওসমান হাদির হত্যার বিচার সম্পন্ন হবে অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই। রবিবার এমনটাই দাবি করেছে মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার। হাদি হত্যার তদন্ত নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছে ইউনূসের সরকার। প্রশ্নের মুখে পড়েছে বাংলাদেশের পুলিশ এবং তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকাও। ইউনূসদের উপর ধারাবাহিক চাপ তৈরি করেছে হাদির সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চ। এ অবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকারের এমন দাবি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
রবিবার দুপুরে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “বর্তমান এই অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদেই হাদি ভাইয়ের হত্যার বিচার সম্পন্ন হবে।” আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে নির্বাচন রয়েছে। তার পরে বাংলাদেশের শাসনভার চলে যাবে নির্বাচিত কোনও সরকারের হাতে। জাহাঙ্গীরের দাবি, নতুন সরকার বাংলাদেশে ক্ষমতায় আসার আগেই অন্তর্বর্তী সরকার হাদি হত্যার বিচার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে ফেলবে।
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কথায়, তদন্ত প্রক্রিয়া বর্তমানে শেষ পর্যায়ে রয়েছে। তিনি বলেন, “আগামী ১০ দিনের মধ্যে, ৭ জানুয়ারি এই মামলায় চার্জশিট পেশ করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি। সকলকে ধৈর্য ধরার জন্য অনুরোধ করছি। আমরা অতি দ্রুত এই হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদ্ঘাটন করব। যাঁরা এর পিছনে জড়িত, তাঁদেরও নাম, ঠিকানা-সহ পূর্ণাঙ্গ তালিকা জনসমক্ষে নিয়ে আসব।”
অস্বস্তির মাঝেই ইউনূস সরকার ঘোষণা করেছিল, হাদির হত্যার বিচার হবে সে দেশের ফাস্ট ট্র্যাক ট্রাইবুনালে। বাংলাদেশের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সম্প্রতি জানান, হাদির হত্যার বিচার চলবে দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে। পুলিশের রিপোর্ট পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে বিচার সম্পন্ন হবে বলেও জানান তিনি। তবে এই ঘোষণার পরেই সন্তুষ্ট নয় ইনকিলাব মঞ্চ। হাদির সংগঠন চাইছে ৩০ দিনের মধ্যে যাতে বিচার সম্পন্ন হয়। একই সঙ্গে স্বরাষ্ট্র এবং আইন উপদেষ্টার পদত্যাগেরও দাবি তুলেছে তারা।