Bangladesh Situation

ভাঙা হচ্ছে শাহবাগ আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত ‘প্রজন্ম চত্বর’! কী ব্যাখ্যা দিচ্ছে বাংলাদেশ প্রশাসন

২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের এক নেতা পুর প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে স্থাপত্য-কাঠামোটি তৈরি করেছিলেন। তবে শাহবাগ আন্দোলন পরবর্তী সময়ে এটি ‘প্রজন্ম চত্বর’ নামেই অধিক পরিচিতি পায়।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২৫ ২০:২৭
ভেঙে ফেলা হচ্ছে ঢাকায় শাহবাগ মোড়ে ‘প্রজন্ম চত্বর’ স্থাপত্য-কাঠামো।

ভেঙে ফেলা হচ্ছে ঢাকায় শাহবাগ মোড়ে ‘প্রজন্ম চত্বর’ স্থাপত্য-কাঠামো। ছবি: সংগৃহীত।

বাংলাদেশে ভেঙে ফেলা হচ্ছে শাহবাগ মোড়ের ‘প্রজন্ম চত্বর’! ২০১৩ সালের শাহবাগ আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত এই কাঠামোটি শনিবার রাত থেকে ভাঙা শুরু হয়। আবহাওয়া ঠিক থাকলে রবিবার রাতের মধ্যে এটি ভাঙার কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমগুলিকে এমনটাই জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ পুর প্রশাসনের আধিকারিকেরা।

Advertisement

বাংলাদেশে রাজাকারদের (যুদ্ধাপরাধীদের) ফাঁসির দাবিতে ২০১৩ সালে এক গণআন্দোলন হয়েছিল। ওই আন্দোলনের ভরকেন্দ্র ছিল ঢাকার শাহবাগ মোড়। বিভিন্ন প্রজন্মের মানুষ ওই সময় শাহবাগ মোড়ে জড়ো হয়েছিলেন। সেই থেকে সেটিকে ‘প্রজন্ম চত্বর’ বলে ডাকা হয়। শাহবাগের ওই মোড়ে একটি স্থাপত্য-কাঠামোও ছিল। শাহবাগ আন্দোলন পরবর্তী সময়ে এই স্থাপত্য-কাঠামোটিও ‘প্রজন্ম চত্বর’ নামেই পরিচিতি পায়। প্রথম আলো অনুসারে, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের এক নেতা পুর প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে এটি তৈরি করেছিলেন।

ঢাকা দক্ষিণ পুরসভা (সিটি কর্পোরেশন)-র প্রশাসক শাহজাহান মিয়া ‘প্রথম আলো’কে জানান, আবাসন এবং পূর্ত মন্ত্রকের নির্দেশে শাহবাগ মোড়ের স্থাপত্যটি তাঁরা ভেঙে দিচ্ছেন। সেখানে নতুন একটি স্থাপত্য তৈরি হবে বলেও জানান তিনি। ‘প্রজন্ম চত্বর’ কাঠামোটি ভেঙে কী তৈরি করা হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন করা হয় পুরপ্রশাসনকে। জবাবে তিনি জানান, পূর্ত মন্ত্রকের থেকে তিনি শুনেছেন দেশের ৬৪টি জেলায় ‘জুলাই মনুমেন্ট’ তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শাহবাগের যে অংশে ওই ‘প্রজন্ম চত্বর’টি রয়েছে, সেখানেই ‘জুলাই মনুমেন্ট’ তৈরি করা হবে।

প্রথম আলো সূত্রে খবর, আওয়ামী লীগের ওই নেতা পুরপ্রশাসনের অনুমতি নিয়ে ২০০৮ সালে নিজ খরচেই এই স্থাপত্য কাঠামোটি নির্মাণ করেছিলেন। মূলত, বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে এটি নির্মাণ হয়েছিল। কিন্তু সেখানে ডিজিটাল স্ক্রিনের বিকট শব্দ এবং অতিরিক্ত আলোর কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং শাহবাগ জাদুঘর কর্তৃপক্ষ সেটি সরিয়ে ফেলার অনুরোধ করেন। পরে পুরপ্রশাসন ডিজিটাল স্ক্রিনটি সেখান থেকে খুলে দেয়। পরবর্তী সময়ে ক্ষতিপূরণ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন আওয়ামী লীগের ওই নেতা। সেই মামলা এখনও চলছে বলে দাবি ঢাকা দক্ষিণ পুরপ্রশাসনের ওই সূত্রের।

Advertisement
আরও পড়ুন