US-Denmark Relation

‘গ্রিনল্যান্ডে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে ট্রাম্প সরকার’! মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলব করল ডেনমার্ক

গ্রিনল্যান্ডে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে সক্রিয় তিন জন মার্কিন নাগরিককে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করেছে ডেনমার্কের গোয়েন্দাবিভাগ। তারই ভিত্তিতে তলব করা হয়েছে ওয়াশিংটনের রাষ্ট্রদূতকে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০২৫ ১৬:২৫
Denmark summons US envoy after report of Americans carrying out covert operations in Greenland

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

গ্রিনল্যান্ডের অন্দরে ট্রাম্প সরকার গোপনে প্রভাব বিস্তার এবং অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ তুলল ডেনমার্ক সরকার। সে দেশের বিদেশমন্ত্রী লার্স লোক্কে রাসমুসেন এ বিষয়ে কূটনৈতিক প্রতিবাদ জানানোর জন্য বুধবার কোপেনহাগেনে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছেন। ডেনমার্কের সরকারি সংবাদ সংস্থা ডিআর এ কথা জানিয়েছে।

Advertisement

প্রকাশিত খবরে দাবি, গ্রিনল্যান্ডে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে সক্রিয় তিন জন মার্কিন নাগরিককে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করেছে ডেনমার্কের গোয়েন্দা বিভাগ। তারই ভিত্তিতে তলব করা হয়েছে ওয়াশিংটনের রাষ্ট্রদূতকে। প্রসঙ্গত, গত মার্চে গ্রিনল্যান্ডের পার্লামেন্ট ভোটে জয়ী হয় ‘ট্রাম্প-বিরোধী’ মধ্য-দক্ষিণপন্থী দল ডেমোক্র্যাটস পার্টি। তার পরেই নতুন করে ওয়াশিংটন-কোপেনহাগেন টানাপড়েন শুরু হয়েছে।

গত বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারপর্বে গ্রিনল্যান্ডকে আমেরিকায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প । দ্বিতীয় বার হোয়াইট হাউসের ‘দখল’ নিশ্চিত হওয়ার পরে দিয়েছিলেন বলপ্রয়োগের হুঁশিয়ারিও। সে সময় রিপাবলিকান নেতার ওই হুমকির প্রতিবাদ করেছিল ডেমোক্র্যাটরা। ডেনমার্কের মূল ভূখণ্ড থেকে প্রায় ৩০০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ৫৬ হাজার জনসংখ্যার ‘বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপ’ প্রায় ৩০০ বছর ধরে কোপেনহাগেনের নিয়ন্ত্রণে। নিজস্ব অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলি পরিচালনা ও উন্নয়ন সংক্রান্ত দায়িত্ব দ্বীপটির স্বায়ত্তশাসিত কর্তৃপক্ষ পালন করেন। আর বিদেশ এবং প্রতিরক্ষানীতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্তগুলি নেয় ডেনমার্ক সরকার।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত কয়েক মাসে একাধিক বার ডেনমার্ক দখলের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। বস্তুত, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে প্রথম মেয়াদেই দেশের পরিসর বাড়াতে কানাডার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপ গ্রিনল্যান্ডকে কিনতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু ওই ‘স্বশাসিত’ দ্বীপের উপর অধিকার ছাড়তে রাজি হয়নি ইউরোপীয় দেশ ডেনমার্ক। গ্রিনল্যান্ডের উপর তাদের অধিকার আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত। এর পরে ট্রাম্প সমাজমাধ্যমে লিখেছিলেন, ‘‘সারা বিশ্বের নিরাপত্তা এবং স্বাধীনতার স্বার্থে আমেরিকা মনে করে যে, গ্রিনল্যান্ডের মালিকানা এবং নিয়ন্ত্রণ এই মুহূর্তে অপরিহার্য।’’

Advertisement
আরও পড়ুন