Israel-Hamas Ceasefire

‘নরক নেমে আসবে’! ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর হুঁশিয়ারির পরই সুর নরম, তিন বন্দিকে মুক্তি দিল হামাস

গত দেড় বছর ধরে হামাস-ইজ়রায়েল সংঘর্ষে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে গাজ়া। শেষ পর্যন্ত কাতারের মধ্যস্থতায় এবং আমেরিকা ও মিশরের প্রচেষ্টায় গত ১৫ জানুয়ারি রাতে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় ইজ়রায়েল সরকার এবং হামাস।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৫:৫৮
Hamas released three more Israeli hostages on Saturday

ইজ়রায়েলি সেনার হাতে আরও তিন বন্দিকে তুলে দিল হামাস। ছবি: রয়টার্স।

টালবাহানার পর শনিবার আরও এক দফায় ইজ়রায়েলি বন্দিদের মুক্তি দিল প্যালাস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইজ়রায়েলের হুঁশিয়ারির পর বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে সুর নরম করেছিল তারা। ট্রাম্পের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যেই প্রস্তাবিত তিন বন্দিকে মুক্তি দিল হামাস। মুক্তির আগে গাজ়ায় জনসমক্ষে তাঁদের হাঁটানো হয়। তার পর ইজ়রায়েলি সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয় তাঁদের।

Advertisement

শনিবার মুক্তি পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন আইয়ার হর্ন, সাগুই ডেকেল এবং আলেকজান্ডার ক্রুফানোভ। তিন জনই ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসপন্থীদের হাতে বন্দি হন। শনিবার বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার কথা আগেই জানিয়েছিল হামাস। পূর্বনির্ধারিত সূচি মেনেই বন্দিদের ছাড়া হল। এই নিয়ে ষষ্ঠ দফায় বন্দি মুক্তি দিল হামাস। এখনও পর্যন্ত মোট ২১ জনকে ইজ়রায়েলি সেনার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

গত দেড় বছর ধরে হামাস-ইজ়রায়েল সংঘর্ষে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে গাজ়া। শেষ পর্যন্ত কাতারের মধ্যস্থতায় এবং আমেরিকা ও মিশরের প্রচেষ্টায় গত ১৫ জানুয়ারি রাতে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় ইজ়রায়েল সরকার এবং হামাস। যুদ্ধবিরতির মূল শর্তই ছিল বন্দি প্রত্যর্পণ। গত ১৯ জানুয়ারি থেকে তা কার্যকর হয়েছে। তবে মাঝে বন্দি প্রত্যর্পণ নিয়ে হামাস এবং ইজ়রায়েলের মধ্যে বিরোধ দেখা যায়। ইহুদি সরকারের অভিযোগ, সেই শর্ত মানছে না প্যালেস্টাইনের সশস্ত্র গোষ্ঠী। পাল্টা ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধেও চুক্তিভঙ্গের অভিযোগে সুর চড়ায় হামাসও।

সম্প্রতি হামাস ঘোষণা করে, ইজ়রায়েলি বন্দিদের মুক্তির বিষয়টি তারা আপাতত স্থগিত রাখছে। তার পরই ইজ়রায়েল এবং আমেরিকার প্রশাসন হুঁশিয়ারি দেয় তাদের। গত সোমবার গাজ়ায় বন্দি ইজ়রায়েলিদের মুক্তি দেওয়ার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, “শনিবার দুপুর ১২টার মধ্যে যদি সব বন্দি ফিরে না আসেন, তবে আমি বলব তা (ইজ়রায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি) বাতিল করতে।” তার পরেই হামাসের উদ্দেশে তোপ দেগে তিনি বলেন, “এ বার নরক নেমে আসবে।” শুধু ট্রাম্প নন, ইজ়রায়েলের প্রেসিডেন্ট বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুরও গলাতেও একই দাবি শোনা যায়। তার পরই কিছুটা সুর নরম করে হামাস জানায়, শনিবারই তিন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে।

Advertisement
আরও পড়ুন