Train Hijacked in Pakistan

দূর থেকে ‘স্নাইপারের’ নিখুঁত নিশানা! বিস্ফোরক-জ্যাকেট পরা জঙ্গিদের কী ভাবে মারল পাক সেনা? কী ভাবে সাফল্য

বিস্ফোরক জ্যাকেট পরে যাত্রীদের মধ্যে মিশে গিয়েছিলেন বালোচিস্তানের বিদ্রোহীরা। মহিলা এবং শিশুদের ‘মানবঢাল’ হিসাবে ব্যবহার করেছিলেন। নিখুঁত নিশানায় এসেছে সাফল্য।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২৫ ১৬:২৯
How Pakistan forces rescued passengers from Balochistan train

কী ভাবে জাফর এক্সপ্রেস অভিযানে সফল হল পাকিস্তানের সেনাবাহিনী? —ফাইল ছবি।

বিস্ফোরক জ্যাকেট পরে যাত্রীদের মধ্যে মিশে গিয়েছিলেন বালোচিস্তানের বিদ্রোহীরা। মহিলা এবং শিশুদের ‘মানবঢাল’ হিসাবে ব্যবহার করেছিলেন। তা সত্ত্বেও কী ভাবে জাফর এক্সপ্রেস অভিযানে সফল হল পাকিস্তানের সেনাবাহিনী? ৩০০-র বেশি যাত্রীকে কী ভাবে নিরাপদে সরিয়ে আনা হল বিদ্রোহীদের কবল থেকে? পাক সেনা আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, স্নাইপার বাহিনী ব্যবহার করায় সাফল্য এসেছে।

Advertisement

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র হিসাবে একটি সংবাদমাধ্যমে লেফ্‌টেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ বলেছেন, ‘‘সময় হিসাব করে খুব সন্তর্পণে উদ্ধারকাজ চালানো হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় উদ্ধার অভিযানের চূড়ান্ত পর্যায় শেষ হয়। সকল পণবন্দিকে মুক্ত করা হয়। যে হেতু যাত্রীদের ‘মানবঢাল’ করেছিল জঙ্গিরা, আমরা সহজে এগোতে পারছিলাম না। যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়টি আমাদের সবসময়ে মাথায় রাখতে হচ্ছিল। তাই পুরো অভিযান সম্পন্ন করতে এত সময় লেগেছে। আমরা সাবধানে প্রতিটি পদক্ষেপ করেছি।’’

এর পরেই স্নাইপার বাহিনীর সাফল্যের কথা জানান শরিফ। জাফর এক্সপ্রেস থেকে একে একে যাত্রীদের বার করে ট্রেনের সামনে দাঁড় করানো হয়েছিল। পরিচয়পত্র ধরে ধরে বেশ কয়েক জনকে হত্যা করা হয়। বাকিদের এক জায়গায় জড়ো করে তাঁদের সঙ্গেই দাঁড় করানো হয় বিস্ফোরক ভর্তি জ্যাকেট পরা জঙ্গিদের। এই জঙ্গিরা সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে মিশে দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁদের চিহ্নিত করা কঠিন ছিল। দূর থেকে স্নাইপার বাহিনী বেছে বেছে এই জঙ্গিদের নিশানা করে। তাঁদের শরীরের এমন অং‌শে গুলি করা হয়, যেখানে বিস্ফোরক নেই। শরিফ জানিয়েছেন, এই পরিকল্পনাতেই সাফল্য এসেছে। অভিযানের সময়ে কোনও যাত্রীর গায়ে আঁচ লাগেনি।

পাকিস্তান সেনাবাহিনী বুধবার রাতে জানায়, ৩৩ জন জঙ্গি নিহত হয়েছেন। উদ্ধার করা হয়েছে ৩০০-র বেশি যাত্রীকে। পণবন্দিরা সকলেই মুক্ত বলে দাবি করা হয়। তবে সেনাবাহিনীর তরফে ২৮ জনের মৃত্যুর কথাও স্বীকার করা হয়েছিল। সেনার বক্তব্য ছিল, জাফর এক্সপ্রেসে ২৭ জন নিরাপত্তা আধিকারিক সাধারণ যাত্রী হিসাবে ছিলেন। তাঁরা কর্তব্যরত ছিলেন না। তাঁদের বেছে বেছে হত্যা করেছেন বিদ্রোহীরা। এ ছাড়া, তাঁদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে এক নিরাপত্তা আধিকারিকের মৃত্যু হয়েছে। মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৮। যদিও জাফর এক্সপ্রেসের হতাহতের সংখ্যা নিয়ে ধন্দ রয়েছে। বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) পাক সেনার পরিসংখ্যান অস্বীকার করেছে।

Advertisement
আরও পড়ুন