IAEA-Iran agreement

‘আর সহযোগিতা নয়’! রাষ্ট্রপুঞ্জের পরমাণু পর্যবেক্ষক সংস্থার সঙ্গে সমঝোতা ভেঙে দিল ইরান

ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি সোমবার জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বরে কায়রোতে আইএইএ-র সঙ্গে যে পরমাণু সহযোগিতা চুক্তি সই হয়েছিল, তা আর প্রাসঙ্গিক নয়।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২৫ ১৯:২৯
Iran says, nuclear cooperation with IAEA no longer relevant

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

রাষ্ট্রপুঞ্জ নিয়ন্ত্রিত আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)-র সঙ্গে আর সহযোগিতা করবে না ইরান। শুক্রবার আয়াতোল্লা খামেনেইয়ের দেশ এ কথা জানিয়েছে। ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বলেন, ‘‘কায়রোতে আইএইএ-র সঙ্গে আমাদের যে সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল, তা আর প্রাসঙ্গিক নয়।’’

Advertisement

গত সেপ্টেম্বরে মিশরের রাজধানী কায়রোতে আইএইএ-র সঙ্গে চুক্তি সই করেছিল ইরান। ওই চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ইরান তাদের পরমাণু কেন্দ্রগুলিতে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক দলকে যেতে দেবে বলে রাষ্ট্রপুঞ্জের সংস্থাটির তরফে জানানো হয়েছিল। কিন্তু ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজ়েকশিয়ানের সরকার সোমবার কার্যত সেই সম্ভাবনায় জল ঢেলে দিল। পারমাণু কর্মসূচির কারণে ইরানের উপর অস্ত্র ও অন্যান্য যে সব নিষেধাজ্ঞা বলবৎ করা হয়েছে, গত সপ্তাহে সেগুলি পুনর্বহালের ঘোষণা করেছিল রাষ্ট্রপুঞ্জ। তার পরেই এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল ইরান।

প্রসঙ্গত, গত ১৩ জুন রাতে ইরানের রাজধানী তেহরান এবং একাধিক পরমাণুকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছিল ইজ়রায়েলি যুদ্ধবিমান। ওই অভিযানের পোশাকি নাম ছিল, ‘অপারেশন রাইজ়িং লায়ন’! ঘটনাচক্রে, ইজ়রায়েলি হামলার দিনকয়েক আগে আইএইএ-র ডিরেক্টর জেনারেল রাফায়েল মারিয়ানো গ্রোসি জানিয়েছিলেন, পরমাণু বোমা নির্মাণের উদ্দেশ্যে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি চালাচ্ছে ইরান। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছিল পেজ়েকশিয়ান সরকার। ইজ়রায়েলি হামলার ন’দিন পরে ২২ জুন ইরানের তিনটি পরমাণুকেন্দ্র, ফোরডো, নাতান্‌জ় এবং ইসফাহানে হামলা চালিয়েছিল আমেরিকার বি-২ বোমারু বিমান। ফেলা হয় বাঙ্কার ব্লাস্টার সিরিজের সবচেয়ে শক্তিশালী বোমা জিবিইউ-৫৭। সেই অভিযানের পোশাকি নাম ছিল ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’। ২৪ জুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্যোগে যুদ্ধবিরতি হলেও ওয়াশিংটনের দাবি মেনে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করতে রাজি হয়নি তেহরান। যা নিয়ে নতুন করে অশান্তির আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল পশ্চিম এশিয়ায়। এ বার কার্যত সেই আশঙ্কা আরও জোরদার হল।

Advertisement
আরও পড়ুন