Israel-Syria Conflict

সিরিয়ায় সংখ্যালঘু জনবসতিতে কট্টরপন্থীদের হামলা! নিহত ৪০, পাল্টা বিমানহানা ইজ়রায়েলের

সিরিয়ায় বসবাসকারী একটি সংখ্যালঘু ধর্মীয় গোষ্ঠী হিসাবে পরিচিত দ্রুজ়েরা। ধর্মবিশ্বাসের দিক থেকে তারা ইসলামের একটি শাখা হিসেবে নিজেদের দাবি করলেও সুন্নি কট্টরপন্থীদের নিশানা হয়েছে বার বার।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২৫ ২০:৫৫
Israel armed forces strikes Syria, saying it hit group that attacked Druze minority communit

সিরিয়ার মাটিতে ইজ়রায়েলি হানা। ছবি: রয়টার্স।

মাস তিনেকের বিরতির পরে আবার সিরিয়ায় হামলা চালাল ইজ়রায়েলি সেনা। ঘটনাচক্রে, আবার সেই সুন্নি কট্টরপন্থী শাসকগোষ্ঠী এবং সংখ্যালঘু দ্রুজ় মিলিশিয়া বাহিনীর সংঘর্ষের আবহে।

Advertisement

রবিবার রাতে দক্ষিণ সিরিয়ার সুয়েইদা প্রদেশে সুন্নি ইসলামপন্থী বেদুইন সশস্ত্র বাহিনী এবং দ্রুজ সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর জনবসতিতে হামলা চালায়। প্রত্যাঘাত করেন দ্রুজ় যোদ্ধারা। দু’পক্ষের সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছেন এই আবহে সোমবার সুন্নি ইসলামপন্থী জঙ্গিবাহিনীর উপর বিমান হামলা চালিয়েছে ইজ়রায়েল। এর আগে মে মাসের গোড়ায় সুন্নি-দ্রুজ সংঘর্ষের সময় সিরিয়ায় হানা দিয়েছিল ইজ়রায়েল সেনা। সে সময় বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার জানিয়েছিল, সংখ্যালঘু দ্রুজ়দের রক্ষার উদ্দেশ্যেই এই পদক্ষেপ।

সিরিয়ায় বসবাসকারী একটি সংখ্যালঘু ধর্মীয় গোষ্ঠী হিসাবে পরিচিত দ্রুজ়। ধর্মবিশ্বাসের দিক থেকে তারা ইসলাম ধর্মের একটি শাখা হিসেবে নিজেদের দাবি করে। কিন্তু অতীতে আল কায়দা, আইএস-সহ বিভিন্ন কট্টরপন্থী ইসলামি সংগঠনের নিশানা হয়েছে দ্রুজ় জনগোষ্ঠী। সিরিয়া ছাড়াও লেবানন ও ইজ়রায়েলে এই ধর্মীয় গোষ্ঠীর মানুষের বসবাস। তবে দ্রুজ়দের রক্ষার অজুহাত দেওয়া হলেও সামরিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের ধারণা, প্রতিবেশী দেশে গৃহযুদ্ধ এবং ক্ষমতার পালাবদলের জেরে অনিশ্চয়তায় সুযোগ সদ্ব্যবহার করতে সক্রিয় হয়েছে ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সরকার।

গত ডিসেম্বরে সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের পতনের পরে ধারাবাহিক হামলা চালিয়েছিল ইজ়রায়েল। গোলান মালভূমির সিরিয়ার দিকে থাকা বাফার জ়োনের ‘দখল’ নিয়ে ইজ়রায়েলি সেনা পৌঁছে গিয়েছিল মাউন্ট হেরমনের কাছে। অন্য দিকে, সিরিয়ায় বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) এবং তাদের সহযোগী ‘জইশ আল-ইজ্জা’র যৌথবাহিনীর রাজধানী দামাস্কাস দখলের পরে শিয়া শাসক আসাদ সপরিবারে রাশিয়ায় পালিয়ে গিয়েছিলেন। সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শরার জমানায় শিয়াদের পাশাপাশি সংখ্যালঘু দ্রুজ় এবং কুর্দ জনগোষ্ঠীর উপরে সুন্নি সশস্ত্র বাহিনীর হামলার অভিযোগ উঠছে ধারাবাহিক ভাবে।

Advertisement
আরও পড়ুন