Israel-Hamas Conflict

ইজ়রায়েল যুদ্ধবিরতির শর্ত মেনে ছেড়ে দিল ১৮৩ জন প্যালেস্টাইনিকে, হামাসের কবল থেকে মুক্ত ছয়

কাতারের মধ্যস্থতায় এবং আমেরিকা ও মিশরের প্রচেষ্টায় গত ১৫ জানুয়ারি রাতে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় ইজ়রায়েল সরকার এবং হামাস। শনিবার চতুর্থ দফার বন্দি বিনিময় করল দু’পক্ষ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২২:১০
বন্দি বিনিময় ইজ়রায়েল-হামাসের।

বন্দি বিনিময় ইজ়রায়েল-হামাসের। ছবি: পিটিআই।

সংঘর্ষবিরতির শর্ত মেনে ইজ়রায়েলের জেলের বন্দি ১৮৩ জন প্যালেস্টাইনিকে মুক্তি দিল বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার। অন্য দিকে, স্বাধীনতাপন্থী সশস্ত্র প্যালেস্টাইনি গোষ্ঠী হামাস শনিবার তিন জন ইজ়রায়েলি পণবন্দিকে রাষ্ট্রপুঞ্জের পর্যবেক্ষক দলের হাতে তুলে দিয়েছে।

Advertisement

২০২৩ সালে ৭ অক্টোবর গাজ়া থেকে ইজ়রায়েলি ভূখণ্ডে হামলা চালিয়েছিল হামাস। ওই হানাদারিতে মৃত্যু হয় প্রায় ১২০০ জনের। ২৫০ জনকে পণবন্দি করা হয়। ওই তিন ইজ়রায়েলি নাগরিক সেই তালিকায় ছিলেন। হামাসের সেই হানাদারির পরেই গাজ়ায় পাল্টা সামরিক অভিযান শুরু করে ইজ়রায়েল। ১৫ মাসের যুদ্ধে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৪৭ হাজার প্যালেস্টাইনি নাগরিকের।

শেষ পর্যন্ত কাতারের মধ্যস্থতায় এবং আমেরিকা ও মিশরের প্রচেষ্টায় গত ১৫ জানুয়ারি রাতে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় ইজ়রায়েল সরকার এবং হামাস। ১৯ জানুয়ারি থেকে তা কার্যকর হয়েছে। তার পর থেকেই যুদ্ধবিরতির অন্যতম শর্ত হিসাবে শুরু হয়েছে বন্দি বিনিময়ের প্রক্রিয়া। ইজ়রায়েলি সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, মুক্তি পাওয়া ১৮৩ প্যালেস্টাইনি বন্দির মধ্যে ১৮ জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত। ৫৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে জেলের সাজা দেওয়া হয়েছিল। আর বাকি ১১ জনকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজ়ায় যুদ্ধ শুরুর পর আটক করা হয়েছিল। ইজ়রায়েলি হানায় গুরুতর জখম ৫০ জন প্যালেস্টাইনির চিকিৎসার প্রয়োজন রাফায় গাজ়া-মিশর সীমান্ত খোলারও সম্মতি দিয়েছে তেল আভিভ।

Advertisement
আরও পড়ুন