Iran-Israel Conflict

ছায়াসঙ্গীদের মাধ্যমে ইরাক, সিরিয়ার মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালাবে ইরান! ‘খবর’ পেয়েই কি পরমাণুকেন্দ্রে হানা আমেরিকার

জর্ডন, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মতো পশ্চিম এশিয়ার নানা দেশে সামরিক ঘাঁটি রয়েছে আমেরিকার। এই ঘাঁটিগুলিতে মোতায়েন রয়েছে প্রায় ৪০ হাজার সেনা।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০২৫ ১৩:১১
Report said Iran-backed militias to strike back at US bases in Iraq and Syria

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

গত সপ্তাহেই পশ্চিম এশিয়ার নানা দেশে ছড়িয়ে থাকা আমেরিকার সেনাঘাঁটিতে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিল ইরান! মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’-এর একটি প্রতিবেদনে আমেরিকার সামরিক এবং গোয়েন্দাকর্তাদের উদ্ধৃত করে এমনটাই জানানো হয়েছে। তার পর শনিবার গভীর রাতে (স্থানীয় সময় অনুসারে) ইরানের তিন পরমাণুকেন্দ্রে আকাশপথে হামলা চালায় আমেরিকা। ইরানের সম্ভাব্য হামলার জবাব দিতেই এই পদক্ষেপ কি না, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়।

Advertisement

প্রতিবেদন অনুসারে, সরাসরি সংঘাতে না-জড়িয়ে অনুগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলিকে আমেরিকার বিরুদ্ধে ব্যবহারের পরিকল্পনা করেছিল তেহরান। গাজ়ায় ইজ়রায়েল-হামাস সংঘাত শুরু হওয়ার পরেই ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি, লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজ়বুল্লার মাধ্যমে ইরান ‘ছায়াযুদ্ধ’ চালাচ্ছে বলে অভিযোগ একাংশের। পরিকল্পনা অনুসারে নাকি, ইরানপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলি ইরাক এবং সিরিয়ায় আমেরিকার সামরিক ঘাঁটিগুলিতে হামলা চালাত। আর হুথি লোহিত সাগর এলাকায় হামলা চালাত।

এই সব কিছুর মধ্যে আমেরিকা যদি ইজ়রায়েলের পক্ষ নিয়ে হামলা চালাত, তা হলে হরমুজ় প্রণালী ইরান বন্ধ করে দিত বলে ‘খবর’ ছিল আমেরিকার কাছে। সে ক্ষেত্রে আমেরিকার রণতরীগুলি পারস্য উপসাগরেই আটকে পড়ত। ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই খবর পাওয়ার পরেই সম্ভাব্য পরিস্থিতির মোকাবিলায় ইউরোপে তিন ডজন (৩৬টি) জ্বালানিবাহী বিমান পাঠায় আমেরিকা। উদ্দেশ্য ছিল আপৎকালীন পরিস্থিতিতে মার্কিন বোমারু বিমানকে জ্বালানি জোগানো।

প্রতিবেদনে ইরানের দুই আধিকারিককে উদ্ধৃত করা হয়েছে। সেখানে ওই দু’জন হামলার পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেছেন। অবশ্য আমেরিকার হামলার পর ইরান পরিকল্পনা বদল কিংবা বাতিল করেছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। প্রসঙ্গত, জর্ডন, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মতো পশ্চিম এশিয়ার নানা দেশে সামরিক ঘাঁটি রয়েছে আমেরিকার। মোতায়েন রয়েছে প্রায় ৪০ হাজার সেনা।

Advertisement
আরও পড়ুন