ভ্লাদিমির পুতিন। — ফাইল চিত্র।
ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় রুশ বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তবে ধ্বংস হয়নি। ইউক্রেনের দাবি উড়িয়ে এমনই জানাল রাশিয়া। সরকারি সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাশিয়ার উপবিদেশমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ জানান, বিমানগুলি মেরামত করা হবে।
গত রবিবার দুপুরে রাশিয়ার বিভিন্ন এলাকায় চারটি বিমানঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়। এই সাফল্যকে বেশ বড়সড় বলেই দাবি করেছে ভলোদিমির জ়েলেনস্কির সরকার। প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার চোখে ধুলো দিয়ে কোন পথে রুশ ভূখণ্ডের এত গভীরে ঢুকে নিখুঁত হামলা চালাল ইউক্রেন, প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েও। বিভিন্ন সূত্রে দাবি করা হয়, ৪০-এর বেশি বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইউক্রেন দাবি করে, তাদের ড্রোন হামলায় ১১টি রুশ বিমান ধ্বংস হয়েছে।
সেই ঘটনার পাঁচ দিন পর বৃহস্পতিবার রাশিয়ার উপবিদেশমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ বলেন, ‘‘প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, বিমানগুলি ধ্বংস হয়নি। ওগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শীঘ্রই তা মেরামত করা হবে।’’
হামলার পরবর্তী প্রভাব সম্পর্কে কিভের বক্তব্য অস্বীকার করে রিয়াবকভ আরও বলেন, ‘‘সে ধরনের বড়সড় কিছুই ঘটেনি। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক কর্তৃক প্রকাশিত তথ্য দেখলেই তা বোঝা যাবে।’’ উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের। রিয়াবকভ জানিয়েছেন, ফোনে আমেরিকার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, কেন তারা এই ঘটনা সম্পর্কে নীরব। রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সহকারী ইউরি উশাকভ জানিয়েছেন, ট্রাম্প পুতিনকে বলেছেন, কিভের রুশ বিমানঘাঁটিতে আক্রমণের পরিকল্পনা সম্পর্কে আমেরিকা অবগত ছিল না।
গত ১ জুন দুপুরে রাশিয়ার ইরকুটস্ক অঞ্চলের বেলায়া বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইউক্রেন। এ ছাড়াও হামলা হয় ওলেনিয়া, ইভানোভো এবং দিয়াগিলোভো বিমানঘাঁটিতে। হামলার কথা স্বীকার করে মস্কোও। রবিবার রাতেই রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক নিশ্চিত জানায়, মুরমানস্ক, ইরকুটস্ক, ইভানোভো, রিয়াজান এবং আমুর অঞ্চলের মোট পাঁচটি সামরিক বিমানঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। তবে মন্ত্রকের দাবি, মুরমানস্ক এবং ইরকুটস্ক ছাড়া বাকি সব অঞ্চলে সফল ভাবে ড্রোনগুলিকে প্রতিহত করেছে রুশ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।