—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারের নামে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি ভবনের নাম বদলানোর দাবিতে উপাচার্যের দফতরের মূল ফটক আটকেবিক্ষোভ দেখালেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠন ডাকসু-র নেতারা। তাঁরা স্লোগান দেন ‘ফ্যাসিবাদের আইকন, ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’। বিক্ষোভকারী ছাত্ররা, জুলাই অভ্যুত্থানে বিরোধিতাকারী শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন।
যে ভবনগুলির নাম বদলানোর দাবি উঠেছে, সেগুলি হল— শেখ মুজিবুর রহমান হল, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, শেখ রাসেল টাওয়ার, বঙ্গবন্ধু টাওয়ার ও সুলতানা কামাল হোস্টেল। হল দুটির মধ্যে শেখ মুজিবুর রহমান হলকে ‘শহীদ ওসমান হাদি হল’ এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলকে ‘বীরপ্রতীক সিতারা বেগম হল’ নামকরণের পক্ষে মত দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও হাসিনাপন্থীদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। আজ দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামীপন্থী ডিনদের পদত্যাগের দাবিতে উপাচার্য, সহ-উপাচার্য, প্রক্টর, রেজিস্ট্রার-সহ সব দফতরের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন একদল শিক্ষার্থী। এ সময়ে সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিনের সঙ্গে শিক্ষার্থীদেরবাগ্বিতণ্ডা হয়।
আওয়ামীপন্থী ছ’জন ডিনের নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হয়েছে। তবে প্রশাসন তাঁদের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ দুপুরে প্রথমে শিক্ষার্থীরা ডিনস-কমপ্লেক্স ভবনের তিন জন ডিনের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন। তাঁরা হলেনআইন অনুষদের অধ্যাপক আবু নাসের মো ওয়াহিদ, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অধ্যাপক এ এস এম কামরুজ্জামান এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপক এস এম এক্রাম উল্ল্যা।অন্য তিন ডিন হলেন, বিজ্ঞান অনুষদে নাসিমা আখতার, প্রকৌশলঅনুষদে বিমল কুমার প্রামাণিক এবং ভূবিজ্ঞান অনুষদের এ এইচ এম সেলিম রেজা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেন— ‘আওয়ামী লীগের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘আওয়ামী লীগের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘হইহই রইরই, আওয়ামী লীগ গেলি কই’।