ঢাকার রাস্তায় তারেক রহমানের গাড়ি ঘিরে কর্মী-সমর্থকদের জমায়েত। ছবি: রয়টার্স।
১৭ বছর পর দেশে ফিরে মা খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন বাংলাদেশের বিএনপি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে গত ২৩ নভেম্বর থেকে ভর্তি দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা। বৃহস্পতিবার দেশে ফিরে প্রথমে জনসভায় ভাষণ দেন তারেক। সেখান থেকে গাড়িতে করে হাসপাতালে যান। তবে তাঁর গাড়ি ঘিরে ঢাকার পথে বিপুল জমায়েত হয়েছিল। বিএনপি সমর্থকদের ভিড়ের কারণে হাসপাতালে পৌঁছোতে বেশ খানিকটা দেরি হয়েছে তারেকের।
তারেকের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী জুবাইদা রহমান এবং কন্যা জাইমা রহমানও বাংলাদেশে ফিরেছেন। বিকেলে খালেদাকে দেখতে তাঁরাও হাসপাতালে যান। তবে তাঁরা আগেই হাসপাতালে পৌঁছে গিয়েছিলেন। তারেক নিজে পৌঁছোন বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ। সঙ্গে ছিলেন বিএনপি-র শীর্ষ নেতৃত্ব। প্রায় দেড় ঘণ্টা তিনি হাসপাতালে ছিলেন। পরে বাড়ির পথে রওনা হন।
তারেকের জন্য হাসপাতালের বাইরেও বিএনপি কর্মী-সমর্থকদের জমায়েত ছিল চোখে পড়ার মতো। ঘন ঘন স্লোগান উঠছিল রাস্তায়। বৃহস্পতিবার দেশে ফেরার পর তারেকের জন্য জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়েতে গণসংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে খালেদাপুত্র ভাষণ দিয়েছেন। কথা বলেছেন দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গেও।
জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে থেকে তারেকের গাড়ি খালেদার হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হয়। রাস্তার দু’ধারে সমর্থকেরা জমায়েত করেছিলেন। থিকথিকে ভিড়ের মধ্যে দিয়ে ধীরে ধীরে গাড়ি এগিয়েছে। সমর্থকদের উদ্দেশে গাড়ি থেকে হাত নাড়ছিলেন তারেক।
দীর্ঘ ১৭ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে নির্বাসিত হয়ে লন্ডনে চলে গিয়েছিলেন তারেক। সেখানেই থেকেছেন। একাধিক বার খালেদাকে অসুস্থতার জন্য লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হলেও তারেক নিজে এক বারও দেশে ফেরেননি। কিছু দিন আগে তিনি জানিয়েছিলেন, রাজনৈতিক জটিলতা ও বাধ্যবাধকতার কারণে তিনি মাকে দেখতে দেশে ফিরতে পারছেন না। তবে শীঘ্রই সেই জট কাটবে বলে তারেক আশা প্রকাশ করেছিলেন। অবশেষে তিনি ফিরলেন।
শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল খালেদাকে। তবে তাঁর শরীরে অন্য একাধিক সমস্যা ধরা পড়ে। রাখা হয় ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, খালেদার শারীরিক পরিস্থিতি অত্যন্ত সঙ্কটজনক। লন্ডনে নিয়ে গিয়ে তাঁর চিকিৎসা করানোর পরিকল্পনাও ছিল। কিন্তু নানা কারণে তা হয়ে ওঠেনি।