Paetongtarn Shinawatra

‘শত্রু দেশের’ নেতার সঙ্গে ফোনালাপ ফাঁস! তাইল্যান্ডের আদালত বরখাস্ত করল প্রধানমন্ত্রীকে

ফাঁস হওয়া ফোন কলে শোনা যায়, সীমান্তযুদ্ধ পরিস্থিতিতে শিনাবাত্রা পড়শি দেশের নেতাকে ‘আঙ্কল’ বলে সম্বোধন করছেন। বলছেন, ‘‘যে কোনও সহযোগিতারর প্রয়োজন হলে আমাকে বলুন।’’

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০২৫ ১৬:১৫
Thailand prime minister Paetongtarn Shinawatra removed from office over leaked phone call scandal with Cambodian leader Hun Sen

পায়েতোঙ্গটার্ন শিনাবাত্রা। —ফাইল চিত্র।

ফোন কল ফাঁস বিতর্কের জেরে বরখাস্ত করা হল তাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পায়েতোঙ্গটার্ন শিনাবাত্রাকে! শুক্রবার সে দেশের সাংবিধানিক আদালত প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে তাঁকে বরখাস্ত করার রায় দিয়েছে। গত জুলাই মাসে ওই মামলায় শিনাবাত্রাকে সাসপেন্ড করেছিল আদালত।

Advertisement

বিতর্কিত ‘পান্না ত্রিভুজ’-এর দখলদারি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে পড়শি দেশ কম্বোডিয়ায় টানাপড়েন চলছে গত সাড়ে ছ’দশক ধরে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে দু’দেশের সেনার মধ্যে বেশ কয়েক দফা সীমান্তযুদ্ধও হয়েছে। হয়েছে ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমানহামলা। তাতে নিহত হয়েছেন দু’পক্ষের বেশ কয়েক জন সেনা এবং অসামরিক নাগরিক। এই আবহে জুনের শেষে একটি ফাঁস হওয়া টেলিফোন কলে কম্বোডিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা সে দেশের পার্লামেন্ট সেনেটের প্রেসিডেন্ট হুন সেনের সঙ্গে সীমান্তবিরোধ নিয়ে আলোচনা করতে শোনা গিয়েছিল শিনাবাত্রাকে।

ফাঁস হওয়া ফোন কলে শোনা যায়, শিনাবাত্রা কম্বোডিয়ার নেতাকে ‘আঙ্কল’ বলে সম্বোধন করছেন। বলছেন, ‘‘যে কোনও সহযোগিতার প্রয়োজন হলে আমাকে বলুন।’’ এমনকি, নিজের দেশের সেনার সমালোচনাও করতে শোনা যায় তাঁকে! ২০২৩ সালে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়লেও সে দেশে সরকার কার্যত হুনের ‘পরামর্শে’ই চলে। এই পরিস্থিতিতে শিনাবাত্রার ফোন কল ফাঁস হওয়ার পর থেকেই তাইল্যান্ডে রাজনৈতিক উত্তেজনা শুরু হয়। বিরোধীরা সরব হয় প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। এমনকি, তাঁর দল এবং জোটের পার্লামেন্ট সদস্যদের একাংশও তাঁর অপসারণের দাবিতে সরব হন। দ্বারস্থ হন সাংবিধানিক আদালতের। বিপাকে পড়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েও শেষ পর্যন্ত গদিরক্ষা করতে পারলেন না শিনাবাত্রা।

Advertisement
আরও পড়ুন