Rastakhiz Missile

বিস্ফোরক নয়, ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ওয়ারহেড! ইরান এ বার বানিয়ে ফেলল নতুন ক্ষেপণাস্ত্র রাস্তখিজ়

রাস্তখিজ় ক্ষেপণাস্ত্রের ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ওয়ারহেড বিস্ফোরণ না ঘটিয়েই ৫০ কিমি ব্যাসার্ধে বিদ্যুৎ পরিবহণ, উপগ্রহ যোগাযোগ এবং যাবতীয় ইলেকট্রনিক সিস্টেম অকেজো করে দিতে সক্ষম।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০২৫ ১৭:০০
Iran has revealed the Rastakhiz missile, which integrates electromagnetic pulse and electronic warhead

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

প্রত্যাঘাতের অস্ত্র এ বার তড়িৎচৌম্বকীয় তরঙ্গ। চলতি মাসে ইরান রাস্তখিজ় নামে যে নতুন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে তার অভিনবত্ব চমকে দিয়েছে পশ্চিমি দুনিয়াকে। প্রচলিত বিস্ফোরকের পাশাপাশি এতে রয়েছে তড়িৎচৌম্বকীয় অস্ত্র স্থাপনের ব্যবস্থা। যা পশ্চিম এশিয়ায় বৈদ্যুতিন যুদ্ধকে নতুন মাত্রা দেবে বলে মনে করছেন অনেকেই।

Advertisement

রাস্তখিজ় ক্ষেপণাস্ত্রের তড়িৎচৌম্বকীয় কারিকুরি বিস্ফোরণ না ঘটিয়েই ৫০ কিমি ব্যাসার্ধে বিদ্যুৎ পরিবহণ, উপগ্রহ যোগাযোগ এবং যাবতীয় ইলেকট্রনিক সিস্টেম অকেজো করে দিতে সক্ষম। শক্রিশালী তড়িৎচৌম্বকীয় ক্ষেত্র সৃষ্টির মাধ্যমেই হয় এই হামলা। সামরিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছে নতুন সেনাপ্রধান জেনারেল আবদুর রহিম মুসাভির নেতৃত্বে সর্বশক্তি দিয়ে ইজ়রায়েলের মোকাবিলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইরান। বিস্ফোরকবিহীন নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা সেই প্রস্তুতিরই অঙ্গ।

গত সপ্তাহে ওমান উপসাগর এবং ভারত মহাসাগরের উত্তরাংশে ‘ইঘতেদার ১৪০৪’ নামে নৌযুদ্ধের মহড়া চালিয়েছে তেহরান। সেই মহড়ায় ইরানের বায়ুসেনার বিমান এবং ‘ইলেকট্রনিক্স ওয়ারফেয়ার ইউনিট’ অংশ নিয়েছিল বলেও জানিয়েছে আয়াতোল্লা খামেনেইয়ের দেশ। সর্বাত্মক যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে তারা ১৮০০টি নতুন ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চার তৈরি করেছে। যার মধ্যে ৩০০ লঞ্চার ভারী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণে সক্ষম।

প্রসঙ্গত, গত ১২ জুন রাতে ইরানের বিভিন্ন শহর ও পরমাণুকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছিল ইজ়রায়েলি যুদ্ধবিমান। যার নাম ছিল ‘অপারেশন রাইজ়িং লায়ন’। তার পরেই ইরান ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইজ়রায়েলে। ১২ দিনের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ২৪ জুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হস্তক্ষেপে যুদ্ধবিরতি হয়েছিল। তার আগেই অবশ্য ২১ জুন গভীর রাতে মার্কিন ‘স্টেল্‌থ’ বোমারু বিমান ‘বি-২ স্পিরিট’ ইরানের তিন পরমাণুকেন্দ্র— নাতান্‌জ়, ফোরডো এবং ইসফাহানে জিবিইউ-৫৭ (বাঙ্কার ব্লাস্টার সিরিজ়ের সবচেয়ে শক্তিশালী বোমা) ফেলেছিল। ওয়াশিংটনের অভিযোগ, ওই গবেষণা কেন্দ্রগুলিতে গোপনে পরমাণু বোমা বানানোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছিল ইরান। শেষ পর্যন্ত ওয়াশিংটনের উদ্যোগে যুদ্ধবিরতি হলেও পশ্চিম এশিয়ায় উত্তজনা কমেনি। গত সপ্তাহেও ইরানের ‘ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট’ মোহাম্মদ রেজা আরিফ যে কোনও মুহূর্তে আবার তেহরান-তেল আভিভ সংঘর্ষ শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন!

Advertisement
আরও পড়ুন