Bangladesh Situation

‘বাংলাদেশের হিংসায় আমরা উদ্বিগ্ন! সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়া উচিত সর্বত্র’! দীপু-হত্যা নিয়েও এ বার মুখ খুলল রাষ্ট্রপুঞ্জ

বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের ঘটনাগুলি নিয়ে উদ্বিগ্ন রাষ্ট্রপুঞ্জ। গত শনিবার হাদি-হত্যার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে বিবৃতি দিয়েছিল তারা। এ বার ফের বিবৃতি দিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল রাষ্ট্রপুঞ্জ।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:৫৫
গত বৃহস্পতিবার থেকে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। ওই রাতে অগ্নিসংযোগ করা হয় বাংলাদেশের সংবাদপত্রের দফতরেও।

গত বৃহস্পতিবার থেকে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। ওই রাতে অগ্নিসংযোগ করা হয় বাংলাদেশের সংবাদপত্রের দফতরেও। — ফাইল চিত্র।

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। এ বার সেই একই উদ্বেগ রাষ্ট্রপুঞ্জেরও। সোমবার ফের বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলেছে এই আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী। রাষ্ট্রপুঞ্জ জানিয়েছে, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক হিংসার ঘটনা নিয়ে তারা খুবই উদ্বিগ্ন।

Advertisement

সম্প্রতি বাংলাদেশের ময়মনসিংহে দীপুচন্দ্র দাসকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে। পরে তাঁর দেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ওই ঘটনায় ইতিমধ্যে ন্যায়বিচারের দাবি তুলেছে ভারত। উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সে দেশের সংখ্যালঘুদের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়েও। সোমবার রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজ়ারিককে প্রশ্ন করা হয় বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে। গত কয়েক দিনে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণের ঘটনায় মহাসচিবের অবস্থান জানতে চাওয়া হয়।

ওই প্রশ্নের উত্তরে গুতেরেসের মুখপাত্র বলেন, “হ্যাঁ, বাংলাদেশে যে হিংসা আমরা দেখেছি, তাতে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশেই হোক, বা অন্য কোনও দেশে— যাঁরা ‘সংখ্যাগরিষ্ঠ’ সম্প্রদায়ের নন, তাঁদেরও নিরাপদ বোধ করা উচিত। প্রত্যেক বাংলাদেশিরই নিরাপদ বোধ করা উচিত। আমরা বিশ্বাস করি (অন্তর্বর্তী) সরকার প্রত্যেক বাংলাদেশিকে নিরাপদে রাখতে সাধ্যমতো সব পদক্ষেপ করবে।”

বস্তুত, গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। অশান্তি সৃষ্টির তিন দিন পরে, গত রবিবার বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে প্রথম বিবৃতি দেয় ভারত। ওই বিবৃতির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বাংলাদেশও একটি পাল্টা বিবৃতি জারি করে। ময়মনসিংহের ঘটনা নিয়ে নয়াদিল্লির বিবৃতিতে আপত্তি জানায় ঢাকা।

মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ওই বিবৃতিতে দাবি করেছে, ময়মনসিংহের ঘটনা একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। ভারতের কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা বলে দেখাচ্ছেন বলে দাবি করেছে তারা। বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকের দাবি, বাংলাদেশে একজন নাগরিকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডকে সংখ্যালঘু নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত করার কোনো যৌক্তিকতা নেই। ইউনূসদের দাবি, ময়মনসিংহের ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ করা হয়েছে এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতারও করা হয়েছে। তবে এ সবের মধ্যেই এ বার বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল রাষ্ট্রপুঞ্জও।

সাম্প্রতিক সময়ে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলল রাষ্ট্রপুঞ্জ। এর আগে মুখ খুলেছিল বাংলাদেশের তরুণ নেতা ওসমান হাদির খুনের ঘটনায়। গত শনিবার এক বিবৃতিতে রাষ্ট্রপুঞ্জ জানিয়েছিল, হাদির হত্যার নিরপেক্ষ তদন্ত প্রয়োজন। তবে বাংলাদেশকে সংযত হতে হবে। গুতেরেস বলেছিলেন, ‘‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নিরপেক্ষ এবং স্বচ্ছ তদন্ত করতে হবে’’। ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে তদন্তপ্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলেও মনে করেন গুতেরেস। এমনটাই জানিয়েছিলন তাঁর মুখপাত্র।

Advertisement
আরও পড়ুন