US Attack in Iran

‘ইরানের সব পরমাণুকেন্দ্র ধ্বংস করেছি’! গোয়েন্দাদের দাবি উড়িয়ে জানালেন ট্রাম্প, কী ব্যাখ্যা দিল হোয়াইট হাউস

রবিবার ভোরে (ভারতীয় সময়) ইরানের তিন পরমাণুকেন্দ্রে আকাশ থেকে বোমাবষর্ষণ করে আমেরিকার ‘বি২ বম্বার’ বোমারু বিমানগুলি। আমেরিকার এই অতর্কিত হামলায় কতটা ধ্বংস হল ইরানের পরমাণুকেন্দ্রগুলি, তা নিয়েই মার্কিন গোয়েন্দাদের সঙ্গে মতবিরোধ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০২৫ ০৮:১৬
US airstrikes failed to fully destroy Iran\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\'s nuclear sites. claimed by intelligence report, but Donald Trump and White Houe opposed

মার্কিন হামলার পর ইরানের নাতান্‌জ় পরমাণুকেন্দ্র। ছবি: রয়টার্স।

আমেরিকার বিমান হামলায় আদৌ কি ইরানের পরমাণুকেন্দ্রগুলির কোনও ক্ষতি হয়েছে? মার্কিন ‘বাঙ্কার বাস্টার’ কতটা ধ্বংস করল ইরানের ফোরডো, নাতান্‌জ় এবং ইসফাহানের তিন পরমাণুকেন্দ্র? এখনও পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির সম্পূর্ণ তথ্য না মিললেও আমেরিকার গোয়েন্দাদের সঙ্গে মতপার্থক্য দেখা দিল প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। শেষে হোয়াইট হাউসকে নামতে হল ব্যাখ্যা দিতে!

Advertisement

রবিবার ভোরে (ভারতীয় সময়) ইরানের তিন পরমাণুকেন্দ্রে আকাশ থেকে বোমাবষর্ষণ করে আমেরিকার ‘বি২ বম্বার’ বোমারু বিমানগুলি। আমেরিকার এই অতর্কিত হামলায় কতটা ধ্বংস হল, ইরানের পরমাণুকেন্দ্রগুলি? এই সংক্রান্ত মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার একটি প্রাথমিক মূল্যায়নের রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ওই রিপোর্টকে উল্লেখ করে জানায়, মার্কিন হামলায় সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়নি ইরানের পরমাণুকেন্দ্রগুলি। তাদের পরমাণু কর্মসূচি শুধু কয়েক মাস পিছিয়ে গিয়েছে মাত্র! সংবাদমাধ্যম ‘সিএনএন’ দাবি করেছিল, পেন্টাগনের গোয়েন্দা শাখা এবং মার্কিন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার যৌথ মূল্যায়নে তৈরি হয়েছে রিপোর্টটি।

ইরানে হামলার পরই ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, ‘সফল ভাবে’ ইরানের তিন পরমাণুকেন্দ্রে হামলা চালানো হয়েছে। ধ্বংস হয়েছে সেগুলি। তার পরে গত কয়েক দিনে বার বার একই দাবিই করে এসেছেন ট্রাম্প এবং তাঁর প্রশাসন। এমনকি, মার্কিন প্রতিরক্ষাসচিব পিট হেগসেথও দাবি করেন, ইরানের পরমাণুকেন্দ্রগুলি ‘সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিহ্ন’ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ফাঁস হওয়া মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্টে উল্টো দাবি করা হয়। ইরানের পরমাণুকেন্দ্র কতটা ধ্বংস হয়েছে, তা মূল্যায়ন করা জন্য যে দল গঠিত হয়েছে, তারই দুই সদস্যকে উদ্ধৃত করে ‘সিএনএন’ জানাচ্ছে, ইরানের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুত ধ্বংস হয়নি। দাবি করা হচ্ছে, পরমাণুকেন্দ্রের ‘সেন্টিফিউজগুলি মূলত ‘অক্ষত’ই রয়েছে! ধ্বংস করা না গেলেও ইরানের পরমাণু কর্মসূচি আরও কয়েক মাস পিছিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়েছে বলেও প্রাথমিক মূল্যায়নে দাবি করা হয়। সংবাদসংস্থা ‘রয়টার্স’ সূত্রে খবর, প্রাথমিক মূল্যায়নে দেখা গিয়েছে, হামলার আগেই ইরান পরমাণুকেন্দ্রগুলি থেকে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের অনেকটাই অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল!

মার্কিন গোয়েন্দাদের এই তথ্যের সঙ্গে একমত নন ট্রাম্প। তিনি ফের নিজের পুরনো অবস্থানেই অনড়। ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, ‘‘ইজ়রায়েল এবং ইরান, উভয়ই সমান ভাবে যুদ্ধ বন্ধ করতে চেয়েছিল। সমস্ত পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস করা এবং তার পরে যুদ্ধ বন্ধ করা আমার জন্য অত্যন্ত সম্মানের ছিল!’’ হোয়াইট হাউসও ট্রাম্পের কথায় সায় দেয়। মার্কিন গোয়েন্দাদের প্রাথমিক মূল্যায়নের রিপোর্টকে ‘সম্পূর্ণ ভুল’ বলে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট এক বিবৃতিতে বলেন, ‘‘এই ধরনের মূল্যায়ন ফাঁস হওয়া প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে হেয় প্রতিপন্ন করার সমান। শুধু তা-ই নয়, যে সব সাহসী মার্কিন সেনা ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ধ্বংস করেছেন, তাঁদের অসম্মান করার একটি প্রচেষ্টা হয়েছে।’’

Advertisement
আরও পড়ুন