Kali Puja Special

মধ্যরাতে হঠাৎ দরজায় ধাক্কা! ‘কে ওখানে?’ ভূত চতুর্দশীর আগে ভৌতিক অভিজ্ঞতা লিখলেন বনি

Advertisement
বনি সেনগুপ্ত
শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২৫ ১৯:৫১
প্রতীকী চিত্র

প্রতীকী চিত্র

ভূত আদৌ আছে কি নেই, এই নিয়ে দ্বন্দ্ব আমার চিরকালের। যদিও অলৌকিক ঘটনার সাক্ষী থেকেছি বহু বার। বিশ্বাস করি ইতিবাচক ও নেতিবাচক শক্তিতে। তবু এই বয়সে দাঁড়িয়েও কিছু কিছু সময়ে আমার মনে হয়, সবটাই মনের ভুল নয় তো?

Advertisement

তবে, সদ্যই বালি বেড়াতে গিয়ে যে ঘটনাটা ঘটে, সেটাকে নিছকই ‘মনের ভুল’ বলে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। খুব সম্প্রতিই গিয়েছিলাম বন্ধুরা মিলে। রাতে শুয়ে আছি, এমন সময়ে মনে হল কেউ দরজায় ধাক্কা দিচ্ছে। দেওয়ালের ও পাশ থেকেও আঘাতের শব্দ শুনতে পেয়েছি। সেই শব্দেই ঘুমটা ভাঙে। তখন মধ্যরাত। হঠাৎ দেখতে পেলাম ঘরের সামনে দিয়ে কেউ যেন সরে গেল। সম্পূর্ণ জেগে থাকা অবস্থাতেই এটা দেখেছি। কাজেই মনের ভুল তো হতেই পারে না। কত বার হাঁক দিলাম, “কে? ওখানে? কোথায় যাচ্ছিস?” কিন্তু কোনও সাড়া নেই। পাশ থেকে কৌশানি (মুখোপাধ্যায়) বলে উঠল, “কাকে বলছ? কেউ তো নেই…” সেই দিন ওটা কার ছায়া ছিল, কাকে দেখেছিলাম, আমার কাছে কোনও ব্যাখ্যা নেই এর।

এই প্রথম নয়, বহু ছবির শ্যুটিং করতে গিয়েও এমন অনেক ঘটনার সম্মুখীন হয়েছি আমি। ‘জতুগৃহ’ সিনেমার কথা মনে আছে তো? আমি আর পরমদা (পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়) তাকদা বলে একটা জায়গায় শ্যুটিং করছিলাম। এমনিই জায়গাটা খুব ভয়ানক। চারিদিক বন-জঙ্গল ছাড়া আর কিছু নেই। মাঝে দু’টি বাড়ি। একটিতে আমরা এবং একটু দূরে অন্য আর একটি বাড়িতে কলাকুশলীরা ছিলেন। ওখানে থাকাকালীন বহু বার ভয় পেয়েছি। কিছু সময় অন্তর অন্তরই কারেন্ট চলে যেত। অন্ধকার হয়ে যেত। গা ছমছম করত সর্ব ক্ষণ। স্বচক্ষে ভূত দেখতে না পেলেও বহু অলৌকিক ঘটনার সম্মুখীন হয়েছি। ‘ভানুপ্রিয়া ভূতের হোটেল’-এর সময়েও একই অবস্থা। সত্যি বলতে, আমার সঙ্গে কিছু ঘটেনি। তবে পাহাড়ে শ্যুটিং করতে গিয়ে আমাদের টিমের অনেকেই এমন কিছু ঘটনার সাক্ষী থেকেছে, যার ব্যাখ্যা তাদের নিজেদের কাছেও নেই।

এ তো গেল বড় বয়সের ঘটনার কথা। এ বার ফিরি ছোট বেলায়। বাবার সঙ্গে কালিম্পং গিয়েছি শ্যুটিংয়ে। দিদাও ছিলেন সঙ্গে। ওখানে একটি বাচ্চার ছায়া দেখতে পেয়েছিলাম। পরে খুব শরীর খারাপ হয়ে পড়েছিল আমার। আসলে দোষ কিছুটা আমারও ছিল। আমাকে একটি খেলনার বাক্স খুলতে বারণ করা হয়েছিল কিন্তু আমি খুলে ফেলেছিলাম। পরে জানতে পেরেছিলাম ওখানে একটি শিশু মারা গিয়েছিল আগে…

এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।

Advertisement
আরও পড়ুন