NMC Guidelines 2025

কোর্স ফি, ইন্টার্নদের ভাতায় বেনিয়ম! তথ্য প্রকাশের সময়সীমা বেঁধে দিল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন

ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের তরফে প্রতিটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সাত দিনের মধ্যে তথ্য প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২৫ ১২:৪৮
NMC cracks down on private med colleges over fee, stipend transparency.

লাগাম ছাড়া ফি বৃ্দ্ধিতে কড়া পদক্ষেপ ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের। প্রতীকী চিত্র।

মেডিক্যালে ভর্তি প্রক্রিয়া এবং ইন্টার্নদের পারিশ্রমিকে স্বচ্ছতা আনতে তৎপর ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন। অনুমোদন ছাড়াই মেডিক্যাল কলেজের কোর্স ফি বৃদ্ধি এবং অনৈতিক ভাবে আসন বৃদ্ধির অভিযোগ নিয়ে একাধিক বার কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছে কমিশনকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে দেশের সমস্ত বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কড়া বার্তা দিয়েছে কমিশন। সাত দিনের মধ্যে অর্থাৎ ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিটি কোর্সের অ্যাডমিশন-সহ বিভিন্ন খাতের ফি এবং ইন্টার্নদের ভাতা সংক্রান্ত তথ্য জমা দিতে হবে।

Advertisement

উল্লেখ্য, ভর্তির দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরও ভর্তি প্রক্রিয়া চালু রাখা, নিয়ম বহির্ভূত ভাবে অতিরিক্ত টাকা ফি হিসাবে জমা নেওয়া, অনৈতিক ভাবে ইন্টার্নদের থেকে ফি আদায়ের মতো একাধিক অভিযোগে দেশের বিভিন্ন আদালতে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই সমস্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্ট রায়দান করে। রায় অনুযায়ী, প্রতিটি বেসরকারি এবং ডিমড ইউনিভার্সিটিকে প্রতিটি কোর্সের অ্যাডমিশন-সহ প্রাক-কাউন্সেলিং পর্বে বিভিন্ন খাতের ফি এবং ইন্টার্ন, জুনিয়র রেসিডেন্ট, সিনিয়র রেসিডেন্টদের ভাতা সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করতেই হবে। এই বিষয়ে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, অন্যথায় বাতিল হতে পারে অনুমোদনও।

কমিশনের নির্দেশ:

  • নিয়মবহির্ভূত ভাবে কোনও কোর্সে ভর্তি নেওয়া যাবে না।
  • ভর্তির সময় অনুমোদন নেই, এমন খাতের জন্য আলাদা করে ফি ধার্য করা যাবে না। অন্যথায় তা অবৈধ হিসাবে চিহ্নিত করা হবে।
  • নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ভাতা এবং ফি সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ না করা হলে শোকজ় করা হবে।
  • এ ছাড়াও আলাদা করে কলেজ কর্তৃপক্ষকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হতে পারে।
  • কোর্সের অনুমোদন বাতিল ছাড়াও ভর্তি প্রক্রিয়াও বন্ধ করে দেওয়া হবে।

নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিটি সরকারি এবং বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজকে কোর্স ফি-এর সঙ্গে আসন সংখ্যার তথ্য প্রকাশ করতেই হবে এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা আপডেটও করতে হবে। অভিযোগ, সেই তথ্য যথাযথ ভাবে প্রকাশ করেনি বহু প্রতিষ্ঠানই। অনৈতিক ভাবে অতিরিক্ত ফি দিয়ে ভর্তি হওয়া কিংবা ইন্টার্নশিপের জন্য আলাদা করে ফি দিতে বাধ্য করা হয়েছে মেডিক্যালের পড়ুয়াদের। কমিশন জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট শাখায় পঠনপাঠন এবং কাজের পরিবেশের স্বচ্ছতা এবং নৈতিকতা বজায় রাখতেই দ্রুত তথ্য প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশ অমান্য করলে যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ছাড়াও কমিশনের তরফে সমস্ত মেডিক্যাল কলেজের ফ্যাকাল্টি মেম্বারদের সংখ্যাও প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মেডিক্যাল কলেজের ওয়েবসাইটে প্রতিটি বিভাগের প্রতিটি কোর্সের জন্য কতজন ফ্যাকাল্টি মেম্বার বরাদ্দ রয়েছে, তার তালিকা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রতি মাসে আপডেট করতে হবে। সে ক্ষেত্রে মেডিক্যাল সুপারিন্টেন্ডেন্ট, প্রিন্সিপাল, ডিন-ও যদি কোনও বিভাগের অধ্যাপক হয়ে থাকেন, তাঁদের নামও সেই তালিকায় যোগ করতে হবে। এই তথ্য যথাসময়ে আপডেট না হলে কড়া ব্যবস্থা নেবে কমিশন।

Advertisement
আরও পড়ুন