WB Schools on Funding Issue

স্কুলের ভরসা কম্পোজিট গ্রান্টেই! অতিরিক্ত ফি সংসদ-পর্ষদের খাতে

ইন্টারনেট পরিষেবা থেকে শুরু করে শংসাপত্র প্রিন্ট করে দেওয়া পর্যন্ত সবটাই স্কুলগুলিকে সম্পূর্ণ নিজের খরচে করতে হচ্ছে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০২৫ ১৫:০৭
schools rely on composite grants.

নাম সংশোধন এবং পরীক্ষা সংক্রান্ত সমস্ত খাতে খরচের দায়িত্বও স্কুলগুলিকেই নিতে হয়। ছবি: সংগৃহীত।

অনলাইনেই স্কুলগুলিকে নাম নথিভুক্তকরণ, অ্যাডমিট কার্ড এবং রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট সংগ্রহের কাজ সম্পূর্ণ করতে হয়। এর জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা, কম্পিউটার, প্রিন্টিং, নাম সংশোধন-সংক্রান্ত সমস্ত খাতে খরচের দায়িত্বও স্কুলগুলির। সম্প্রতি মাধ্যমিক উত্তীর্ণদের জন্য একাদশে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার ফি জমা দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ায় ক্ষুব্ধ শিক্ষামহলের একাংশ।

Advertisement

রাজ্যের প্রধান শিক্ষক সংগঠনের একাংশের অভিযোগ, অনলাইনে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে যে পরিমাণ অর্থ স্কুলগুলিকে ব্যয় করতে হয়, তার জন্য আলাদা করে কোনও অনুদান বরাদ্দ করা হয় না। ইন্টারনেট পরিষেবা থেকে শুরু করে শংসাপত্র প্রিন্ট করে দেওয়া পর্যন্ত সবটাই স্কুলগুলিকে সম্পূর্ণ নিজের খরচে করতে হচ্ছে। এরই সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের থেকে সমস্ত ফি সংগ্রহ করে তা পুরোটাই উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ কিংবা মধ্যশিক্ষা পর্ষদকেই পাঠাতে হচ্ছে। সংগঠনের একাংশের দাবি, দ্রুতই স্কুলগুলিকে কিছু অনুদান এই খাতে বরাদ্দ করা দরকার।

একই সঙ্গে রাজ্যের একাধিক স্কুলের অভিযোগ, তারা বার্ষিক অনুদান হিসাবে পড়ুয়াদের থেকে ২৪০ টাকা ফি হিসাবে নিতে পারেন। এর বাইরে কম্পোজিট গ্রান্ট বাবদ কিছু টাকা মেলে, যদিও এখনও পর্যন্ত বরাদ্দ টাকার ২৫ শতাংশই মিলেছে। অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস-এর সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতির অভিযোগ, পড়ুয়াদের স্বার্থে খরচ চালানোর জন্য স্কুলগুলিকে কোনও অনুদানই দেওয়া হয় না। তিনি আরও বলেন, “প্রতি বছরই মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ পরীক্ষা-সহ বিভিন্ন অজুহাতে ফি বৃদ্ধি করেই চলেছে। এ ভাবে স্কুলগুলি চলতে পারে না।”

উল্লেখ্য, একাদশ শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন এবং অন্যান্য কাজ বাবদ মোট ১৯০ টাকা ফি বরাদ্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে রেজিস্ট্রেশন ফি ৭৫ টাকা, প্রসেসিং ফি ৪৫ টাকা, কনভেনিয়েন্স ফি ৩০ টাকা এবং রেজাল্ট প্রসেসিং ফি হিসাবে ৪০ টাকা দিতে হবে। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ ২ জুন থেকে ৩০ জুনের মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দিয়েছে।

Advertisement
আরও পড়ুন