দ্বাদশের পর বায়োটেকনোলজি নিয়ে পড়াশোনা কী ভাবে শুরু করবেন? প্রতীকী ছবি।
শস্য উৎপাদন থেকে শুরু করে রোগ নির্ণয় এবং নিরাময়ের উপায় খুঁজে বার করা, সবটার জন্য বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির ব্যবহার আবশ্যক। তাই স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরে বায়োটেকনোলজি বিষয়টি পড়ানো হয়ে থাকে। এই বিষয়টির মাধ্যমে পরিবেশ, স্বাস্থ্য, কৃষি, খাদ্য উৎপাদন সংক্রান্ত কাজ এবং সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে কোন কোন প্রযুক্তির ব্যবহার প্রযোজ্য এবং প্রাসঙ্গিক, তা নিয়েই চর্চা চলছে। এই বিষয়টি নিয়ে পড়ার জন্য বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি নিয়ে আগ্রহ থাকার পাশাপাশি, জীবজগত এবং পরিবেশ নিয়েও ওয়াকিবহাল থাকতে হবে।
দ্বাদশের পর শুরু করা সম্ভব?
স্নাতক স্তরে বিষয়টি নিয়ে পড়ার জন্য দ্বাদশে জীববিদ্যা (বায়োলজি), রসায়ন এবং ম্যাথমেটিক্সে দক্ষতা থাকা আবশ্যক। যে হেতু এই বিষয়টি ‘মাল্টিডিসিপ্লিনারি’ হিসাবে পরিচিত, তাই ব্যাচেলর অফ সায়েন্স (বিএসসি) ডিগ্রি কোর্স যেমন পড়ানো হয়, তেমনই ব্যাচেলর অফ টেকনোলজি (বিটেক) পড়ার সুযোগ রয়েছে। সাধারণত তিন বছরের স্নাতক স্তরের কোর্স করানো হলেও কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঁচ বছরের ইন্টিগ্রেটেড কোর্সও করতে পারবেন।
শস্য উৎপাদন থেকে শুরু করে রোগ নির্ণয়ের মতো একাধিক বিষয় নিয়ে পড়ানো হয় বায়োটেকনোলজিতে। প্রতীকী চিত্র।
রাজ্যের কোথায়, কোন কোর্স পড়ানো হয়?
খরচ কেমন?
উল্লিখিত বিষয়টি স্নাতক স্তরে পড়ার জন্য ৩০ হাজার থেকে ১৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। তবে, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে পড়ার সুযোগ পেলে খরচের অঙ্ক ৫৭ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকার মধ্যে থাকে। বেসরকারি ক্ষেত্রে খরচের পরিমাণ ১৩ লক্ষ টাকা কিংবা তার বেশিও হতে পারে।
ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা, কৃষিবিদ্যা প্রতিষ্ঠান, বায়োপ্রোডাক্টস ইন্ডাস্ট্রিতে বায়োটেকনোলজিতে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর যোগ্যতা সম্পন্নদের চাহিদা রয়েছে। প্রতীকী চিত্র।
সর্বভারতীয় স্তরের প্রবেশিকা এবং ফেলোশিপ:
কাজের সুযোগ:
কাজের প্রশিক্ষণ:
কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি মন্ত্রকের অধীনস্থ ডিপার্টমেন্ট অফ বায়োটেকনোলজির তরফে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর যোগ্যতাসম্পন্নদের জন্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং প্রোগ্রামের আয়োজন করে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের তরফে প্রতি বছর বায়োটেকনোলজিতে স্নাতক, স্নাতকোত্তর যোগ্যতাসম্পন্নদের গবেষণা, উৎপাদনের মতো ক্ষেত্রে কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে।
প্রশিক্ষণ চলাকালীন তাঁদের ২৩ হাজার ৩৫০ টাকা ভাতা হিসাবেও দেওয়া হয়। এ ছাড়াও ৯ থেকে ১০ হাজার টাকা স্টাইপেন্ডও হিসাবেও বরাদ্দ করা হয়। প্রশিক্ষণ চলে ছ’মাস পর্যন্ত। চলতি বছরের প্রশিক্ষণের জন্য ২৪ অগস্ট পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হবে।