Aditya Sengupta

প্রতিষ্ঠিত হওয়ার অপেক্ষা, না কি দায়িত্ব নিতে ভয় পান? বিয়ে নিয়ে কী বললেন আদিত্য-অনুষা?

সেনগুপ্ত বাড়ি থেকে কি আদিত্য-অনুষার সম্পর্কে সিলমোহর দিল? উভয়েই বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন আনন্দবাজার ডট কমের সঙ্গে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫ ১৯:৩৬
শীঘ্রই বিয়ের পিঁড়িতে আদিত্য সেনগুপ্ত-অনুষা বিশ্বনাথন?

শীঘ্রই বিয়ের পিঁড়িতে আদিত্য সেনগুপ্ত-অনুষা বিশ্বনাথন? ছবি: ইনস্টাগ্রাম।

একসঙ্গে আদিত্য সেনগুপ্ত-অনুষা বিশ্বনাথন.রং খেললেন আদিত্যের বাড়ির ছাদে। পড়ন্ত বিকেলের রোদ যুগলের চোখেমুখে। আবিরের লালচে আভা, গোধূলির রং— সব মিলিয়ে অনুষার চোখেমুখে বাড়তি জৌলুস। সাদা সালোয়ার-কামিজ়ের সঙ্গে গোলাপি ফুলছাপ ওড়না বেছে নিয়েছিলেন অভিনেত্রী। অভিনেতার পরনে বাসন্তী রঙের পাঞ্জাবি।

Advertisement

হবু শ্বশুরবাড়ি কি এ ভাবেই সম্পর্কে সিলমোহর দিল? এ বার তা হলে সাত পাক ঘোরার পালা?

আনন্দবাজার ডট কমের প্রশ্ন শুনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দিলেন উভয়েই। অনুষার কথায়, “এখনই বিয়ের কথা আমরা ভাবছি না। অনেকটা পথ চলতে হবে। হ্যাঁ, আদিত্যর বাড়িতে আমার যাতায়াত আছে। প্রেমের সম্পর্কের থেকেও আগে আমরা বন্ধু।” প্রায় একই সুর আদিত্যের কথাতেও। তাঁর বক্তব্য, “আমার পরিবার অনুষাকে পছন্দ করে। কিন্তু পেশাজীবনে এখনও আমরা সে ভাবে থিতু হইনি। আগে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত হওয়া দরকার। বিয়ের বয়স পড়ে রয়েছে।”

এই প্রজন্ম না কি দায়িত্ব নিয়ে ভয় পায়, এমনটাই ইদানীং কান পাতলে শোনা যায়। পাশাপাশি, আদিত্য তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে মা-বাবার বিচ্ছেদ দেখেছেন। তাই কি থিতু হতে সময় নিচ্ছেন?

আদিত্য অবশ্য এটা মানেন না। বললেন, “এ বছর দোলের দিন, ১৪ মার্চ আমার বাবা দেবাংশু সেনগুপ্তের মৃত্যুবার্ষিকী। আমি, মা খেয়ালি দস্তিদার, বাপি অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায় তিন জনে গোল হয়ে বসে বাবার গল্প করছিলাম।” একটু থেমে যোগ করেছেন, “বাবার সঙ্গে মায়ের বিরোধ, বিচ্ছেদ যতটা সত্যি ততটাই সত্যি বাপির সঙ্গে মায়ের ভাল থাকা। গত ২৫ বছর ধরে সারা ক্ষণ হাসিখুশি থাকে আমার মা। যা আগে থাকত না। আমাকেও বাপি যত্নে রেখেছে।”

আদিত্যের মতে, তিনি সম্পর্কের ইতিবাচক-নেতিবাচক, দুটো দিকই দেখেছেন। ফলে, দায়িত্ব নিতে একটুও ভয় পান না।

Advertisement
আরও পড়ুন