intermittent fasting risks

দীর্ঘ সময় উপোস করলে সুস্থ থাকে শরীর, তবে ৫ পরিস্থিতিতে সতর্ক হওয়া উচিত

দীর্ঘ সময় উপোসের একাধিক উপকারিতা রয়েছে। তবে ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’ সকলের পক্ষে সমান ফলাফল প্রদান না-ও করতে পারে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৯:১৭
5 health conditions that make intermittent fasting unsafe

প্রতীকী চিত্র। ছবি: সংগৃহীত।

ওজন কমানো থেকে শুরু করে সুগার নিয়ন্ত্রণ, বিপাকক্রিয়ার উন্নতি সহ একাধিক কারণে ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’ জনপ্রিয়। তবে এই ধরনের উপোস সকলের জন্য উপকারী নয়। তাই সতর্ক না হলে বিপদ হতে পারে।

Advertisement

ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং কী?

এই ধরনের অভ্যাসে দিনের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট সময়েই ব্যক্তি খাবার খেয়ে থাকেন। ধরা যাক, ৩ থেকে ৪ ঘণ্টার মধ্যে দিনের বেশির ভাগ ক্যালোরি গ্রহণ করে থাকেন। বাকি ২০ ঘণ্টার মধ্যে মূলত তিনি জল বা চা-কফি পান করেন।

কাদের এড়িয়ে যাওয়া উচিত

কয়েকটি ক্ষেত্রে এই ধরনের উপোস অনুসরণ করা উচিত নয়—

১) যাঁদের হার্টের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করা উচিত নয়। কারণ, চিকিৎসকেদের মতে, দিনের মধ্যে নির্দিষ্ট একটি সময়ে খাবার খেলে হার্টের উপর চাপ তৈরি হতে পারে।

২) এই ধরনের উপোসের ফলে রক্তে শর্করার তারতম্য ঘটে। দীর্ঘ ক্ষণ না খেয়ে থাকলে ব্যক্তির রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যেতে পারে বা হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে। তার ফলে ব্যক্তি মাথা ঘোরা, ক্লান্তিবোধ করতে পারেন। তাই যাঁদের সুগার রয়েছে, ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করার আগে তাঁদের চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।

৩) অন্তঃসত্ত্বাদের ক্ষেত্রে আসন্ন সন্তানের যত্নের জন্য দেহে পুষ্টির প্রয়োজন। কিন্তু এই সময়ে কোনও ধরনের উপোস করলে তা গর্ভস্থ সন্তানের ক্ষতি করতে পারে। আবার সদ্য মা হয়েছেন, সন্তানকে স্তন্যপান করাচ্ছেন যাঁরা, তাঁদেরও ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করা উচিত নয়।

৪) দেহে মেদ জমলেও সেই ব্যক্তি অপুষ্টির শিকার হতে পারেন। তাই দেহে পুষ্টিগুণের অভাব থাকলে, উপোস দেহের আরও ক্ষতি করতে পারে। সময়ের সঙ্গে দেহে নানা রোগ বাসা বাঁধতে পারে।

৫) অল্প বয়সে এবং কিশোরকালে দেহের গঠনের জন্য অধিক পুষ্টির প্রয়োজন। কিন্তু সেখানে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করলে তাঁদের শরীর খারাপ হতে পারে। তাই ১৮ বছরের কম বয়সিদের এই ধরনের উপোসের অভ্যাস না করাই ভাল।

Advertisement
আরও পড়ুন