গলা, মুখের ভিতরে শুকনো ভাব কোন রোগের লক্ষণ। ছবি: ফ্রিপিক।
রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখছেন গলা একেবারে শুকিয়ে কাঠ। ক্লান্তি যেন কাটছেই না। সেই সঙ্গেই গা গোলানো বমি বমি ভাব। পা ফুলেছে, অসাড় ভাব। এমন সব লক্ষণ কিন্তু মাঝেমধ্যেই দেখা দেয়। অনেকেই ভেবে বসেন গ্যাস-অম্বলের কারণে হয়তো এমন হচ্ছে। অথবা রাতে ঠিকমতো ঘুম হয়নি, সে কারণে হচ্ছে। আসল কারণটা কিন্তু তা না-ও হতে পারে।
এমন অনেক অসুখই আছে যা চুপিসাড়ে বাসা বাঁধে শরীরে। তলে তলে ডালপালা মেলতে থাকে। যখন রোগের লক্ষণ প্রকাশ্যে আসতে থাকে, তখন দেরি হয়ে যায় অনেকটাই। ডায়াবিটিসও ঠিক তেমনই। তবে ডায়াবিটিস কিন্তু তার আগমনের লক্ষণ জানান দেয়। শরীরেই সেই সব উপসর্গ ফুটে উঠতে থাকে একে একে। রাতের বেলায় তেষ্টা পাওয়া অনেকের কাছেই খুব সাধারণ সমস্যা। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা থেকে শুরু করে, কোনও ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অথবা কোনও রোগের কারণেও এই পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। তবে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে এমন লক্ষণ দেখা দিলে সাবধান হতে হবে।
কী কী লক্ষণ দেখলে সাবধান হবেন?
ঘুম থেকে উঠেই মনে হতে পারে মুখের ভিতরটা একেবারে শুকনো। এ দিকে রাতে বেশি করে জল খেয়েই শুয়েছেন। মাঝরাতে ঘুম ভাঙতে উঠেও জল খেয়েছেন। তা-ও দেখছেন গলা শুকিয়ে যাচ্ছে বারে বারে। মুখের ভিতরে কেমন একটা জ্বালা জ্বালা ভাব। জল খেলেও যেন তেষ্টা মিটছে না
বার বার প্রস্রাব হওয়াটাও কিন্তু রক্তে শর্করা বাড়ার লক্ষণ হতে পারে। দেখবেন রাতে বার বার ঘুম ভেঙে গিয়ে প্রস্রাবের বেগ আসছে। একে বলা হয় ‘পলিইউরিয়া’। রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে থাকলে এমন লক্ষণ দেখা দেয়।
অনেকে ডায়াবেটিকের রোগীরাই বলেন, সকালে ঘুম ভাঙার পরেই মনে হয়, দু’পায়ে কোনও জোর নেই। মনে হয়, পা দুটো যেন অসাড় হয়ে গিয়েছে।
ঘাড়, কাঁধ, চোয়ালেও ব্যথা হতে পারে। এক জায়গায় বসে থেকেও ক্লান্তি আসতে পারে।
দিনভর গা গোলানো, বমি বমি ভাব থাকবে। চোখের দৃষ্টি ঝাপসা মনে হতে পারে। চিকিৎসকেরা বলছেন, ভোর ৪টে থেকে সকাল ৮টা অবধি রক্তে শর্করার মাত্রা অনেক সময়েই বেড়ে যায়। একে বলে ‘মর্নিং হাইপারগ্লাইসিমিয়া’। সেই সময়েই এই সব লক্ষণ জানান দিতে থাকে।