Meditation Tips

নতুন বছরে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার অবসান হোক, মানসিক চাপ কমাতে ধ্যানের সহজ পদ্ধতি শিখে নিন

মানসিক চাপ কমাতে মেডিটেশন বা ধ্যান করার কথা বলেন অনেকেই। তবে ধ্যান করা নিয়ে নানা রকম ধারণা আছে। অনেকেই ভাবেন শুধু চোখ বুঝে মনঃসংযোগ করলেই হবে। তা নয়। যদি দুশ্চিন্তা, অবসাদের মেঘ সরাতে হয়, তা হলে ধ্যানের কয়েক রকম পদ্ধতি শিখে রাখা জরুরি।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ ১১:১১
How to meditate properly in the morning to reduce stress

ধ্যান কী ভাবে করলে মানসিক চাপ কমবে, দুশ্চিন্তা উধাও হবে। ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।

ঘরে-বাইরে চিন্তার পাহাড়। অফিসে কাজের চাপ, সংসারের নানা দায়-দায়িত্ব সামলাতে সামলাতে মনে দুশ্চিন্তার মেঘ জমছে। হঠাৎ হঠাৎ রেগে যাচ্ছেন, আত্মবিশ্বাস একেবারে তলানিতে ঠেকেছে, ঘুম আসছে না, বিছানায় এ পাশ-ও পাশ করেই রাত কাবার। মানসিক চাপ ধীরে ধীরে অবসাদের বীজ বপন করে। তাই সময় থাকতেই মনের চাপ কমাতে হবে। সে জন্য জরুরি মনের ব্যায়াম। আর তার জন্য মেডিটেশন বা ধ্যান খুব কার্যকরী হতে পারে।

Advertisement

নতুন বছরে মানসিক চাপ, উদ্বেগ থেকে রেহাই পেতে নিয়মিত মেডিটেশন অভ্যাস করতে পারেন। রোজ মাত্র ১০ মিনিট ধ্যান করলেই অশান্ত মন শান্ত ও সুস্থির হবে। শরীর ও মনের অনেক জটিল অসুখবিসুখও সারবে। এমনটাই দাবি করা হয়েছে গবেষণায়। দেশের ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেল্‌থ’-এর একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, প্রতি দিন অন্তত ১০ মিনিটও যদি কেউ সঠিক পদ্ধতিতে ধ্যান করেন, তা হলে তাঁর মস্তিষ্কে নানা বদল আসবে।

ধ্যানের সহজ নিয়ম

নিরিবিলি-শান্ত জায়গা খুঁজে নিন। হাওয়া-বাতাস চলাচল করে এমন জায়গা হলে ভাল হয়।

ধ্যান করতে বসার সময়ে মনে রাখতে হবে, পোশাক যেন হালকা হয়। শরীরে অস্বস্তি হলে মনোযোগ দিতে সমস্যা হবে।

চোখ বুজে, ধ্যানাসনে বসে দীর্ঘ ক্ষণ মন শান্ত রাখাটা সহজ নয়। যদি মনে করেন, ধ্যান করলে এক দিনেই মন একাগ্র হবে, তা কিন্তু নয়। নিয়মিত অভ্যাস প্রয়োজন৷ তাই রোজ ধৈর্য ধরে অভ্যাস করলে তবেই ফল পাওয়া যাবে।

সময় নিয়ে অনেকেই একটু অস্বস্তিতে থাকেন। সকাল, সন্ধ্যা বা রাতে যে কোনও সময়েই ধ্যান করতে পারেন। এমন জায়গা বেছে নেবেন, যেখানে কোলাহল নেই। ধ্যান কতটা করবেন, সেটি সবটাই নির্ভর করছে আপনার উপর। শুরুতে ১০ থেকে ১৫ মিনিট স্থির ভাবে বসে দেখুন। তার পর সময় বাড়িয়ে নিতে পারেন।

ধ্যানের তিন পদ্ধতি

প্রথম প্রথম চোখ বুজলেই দেখবেন মনে নানা চিন্তা আসছে। যদি চিন্তা একেবারে দূর করতে না পারেন, তা হলে খারাপ চিন্তা দূরে ঠেলে সুন্দর অভিজ্ঞতা মনে করতে হবে। অতীতের সুন্দর স্মৃতি চোখের সামনে দেখার চেষ্টা করুন। এতেও মনের নেতিবাচক ভাবনা দূর হবে। টানা ৩ মিনিট এই অভ্যাস করতে হবে।

পরের ৩ মিনিট আবার শ্বাস-প্রশ্বাসের উপর জোর দিতে হবে। গভীর ভাবে শ্বাস টেনে ছাড়তে হবে।

শেষ ২ মিনিট চারপাশের পরিবেশকে অনুভব করার চেষ্টা করতে হবে। চারপাশের অতি সূক্ষ্ম শব্দ, গন্ধ অনুভব করার চেষ্টা করুন। এতেও মনের চাপ অনেকটাই কমে যায়।

Advertisement
আরও পড়ুন