Drinks for Weight Loss

রাতের খাওয়া বাদ দিচ্ছেন? রোগা হতে গিয়ে পুষ্টির ঘাটতি হলে বিপদ, তাই সকালে চুমুক দিন পাঁচ পানীয়ে

দীর্ঘ সময় পেট ফাঁকা রাখতে হলে, তার আগে ও পরে এমন কিছু খাবার খেতে হবে, যা শরীরকে আর্দ্র রাখবে এবং ভিটামিন-খনিজের ভারসাম্য বিগড়ে যেতে দেবে না। আবার খালি পেটে খুব ভারী খাবার খেয়ে ফেললেও সমস্যা। তা হলে উপায়?

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৫ ১৪:৪১
These are healthy morning drinks recipes for weight loss

রাতে কম খেয়ে বা খাওয়া বাদ দিয়ে ডায়েট করলে, সকালে খেতেই হবে এই সব পানীয়। ছবি: ফ্রিপিক।

ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করে ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন অনেকেই। তারকাদের দেখাদেখি রাতের খাওয়া বাদ দিয়ে দ্রুত মেদ ঝরানোর ধারা শুরু হয়েছে কমবয়সিদের মধ্যে। অনেকে আবার বিকেল বা সন্ধ্যা নামতে না নামতেই, রাতের খাওয়া সেরে নিচ্ছেন। তাতে থাকছে হালকা স্যুপ বা সব্জি অথবা শুধু চিকেন সেদ্ধ। টানা ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা উপোস দিয়ে আবার সকালের জলখাবার খেতেও দেরি হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে ওজন তাড়াতাড়ি কমবে ঠিকই, কিন্তু পুষ্টির বিপুল ঘাটতি হবে। টানা দীর্ঘ সময় পেট ফাঁকা রাখতে হলে, তার আগে ও পরে এমন কিছু খাবার খেতে হবে, যা শরীরকে আর্দ্র রাখবে এবং ভিটামিন-খনিজের ভারসাম্য বিগড়ে যেতে দেবে না। আবার খালি পেটে খুব ভারী খাবার খেয়ে ফেললেও সমস্যা। হজম তো হবেই না, উল্টে ক্যালোরি আরও বেড়ে যাবে। তাই কী খেলে উপকার হবে, তা জেনে নিন।

Advertisement

নেটমাধ্যমের উপর ভরসা রেখে কোনও ডায়েটই করা উচিত নয়। এর ফলে শরীরে পুষ্টিগুণের অভাব হতে পারে। কিটো ডায়েট অর্থাৎ, কার্বোহাইড্রেট যেমন ভাত, রুটি কম খাওয়া অথবা প্রোটিন ডায়েট, যেখানে শুধু মাছ, মাংস, ডিম বা উদ্ভিজ্জ প্রোটিন খেয়ে রোগা হওয়ার চেষ্টা করা হয়, সেখানে নিয়ম না মানলে ভিটামিনের অভাব হবেই। ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং আরও বড় সমস্যার। সেখানে শরীরের চাহিদা বুঝে উপোসের সময়কাল ১০ থেকে ১৮ ঘণ্টা এমনকি, ২২ ঘণ্টা পর্যন্ত হতে পারে। তাই পুষ্টিবিদের পরামর্শ না নিলেই মহিলাদের ক্ষেত্রে ঋতুস্রাবের সময় পিছিয়ে যাওয়া, শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হওয়া, চুল উঠে যাওয়া, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো বিবিধ সমস্যা দেখা দেবে। এমন ধরনের ডায়েট যদি করেন, তা হলে সকালের জলখাবার শুরুই করতে হবে পুষ্টিগুণ সম্পন্ন ও ডিটক্স পানীয় দিয়ে।

ট্রপিক্যাল বেসিল স্মুদি

আধ কাপ আনারস, আধ কাপের মতো আম অথবা অর্ধেকটা কলা, এক চামচ লেবুর রস, ৬ থেকে ৭টি তুলসি পাতা, আধ চামচ চিয়া বীজ, আধ কাপের মতো নারকেলের দুধ ভাল করে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। খাওয়ার সময় আরও কিছু তুলসি পাতা উপরে ছড়িয়ে নিতে পারেন।

মাচা-আপেল ডিটক্স

একটি আপেল টুকরো করে নিন। এক চামচ মাচা পাউডার প্রয়োজন হবে। আর লাগবে ১ কাপ কাঠবাদামের দুধ অথবা নারকেলের দুধ, আধ চামচ আদার কুচি ও ১ চা-চামচ ওট্‌স। সমস্ত উপকরণ ভাল করে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। খাওয়ার সময়ে উপরে আরও কিছুটা মাচা পাউডার ছড়িয়ে দিতে পারেন। মাচার ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট শরীরের প্রতিরোধ শক্তি বাড়াবে ও পুষ্টির ঘাটতি মেটাবে।

দারচিনি-মধুর শট্‌স

এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ জলে আধ চা-চামচ দারচিনির গুঁড়ো ও এক চামচ মধু মেশাতে হবে। দারচিনি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করবে। মধু শরীরের শক্তি বাড়াবে। দীর্ঘ সময় উপোস দেওয়ার পরে রক্তে যাতে সুগারের মাত্রা আচমকা কমে না যায়, সে জন্যই খেতে হবে এই পানীয়।

আদা-লেবুর ডিটক্স

দীর্ঘ ক্ষণ পেট ফাঁকা রাখলে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা বাড়ে। পেট ফেঁপে যেতে পারে। সে জন্য সকাল সকাল এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ জলে এক ইঞ্চির মতো আদা ও একটি গোটা পাতিলেবুর রস মিশিয়ে খেতে হবে। এই পানীয় খেলে শরীরের প্রদাহও কমবে।

মিন্ট-লেমন স্মুদি

অম্বলের ধাত আছে যাঁদের, তাঁরা যদি ডায়েট করেন ও রাতের খাওয়া বাদ দেন, তা হলে মুশকিল হতে পারে। সে কারণে সকালে উঠে আগে এই স্মুদি খেয়ে নিতে হবে। এক মুঠো পুদিনা পাতা, একটি পাকা কলা, একটি গোটা পাতিলেবু নিতে হবে। এক গ্লাস পরিমাণ জলে পুদিনা ও কলা চটকে নিয়ে ভাল করে ব্লেন্ড করে নিন। এতে মেশান লেবুর রস। কলার পটাশিয়াম শরীরে শক্তি জোগাবে, খনিজ উপাদানগুলির ভারসাম্য বজায় রাখবে। এই পানীয় খেলে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্যও বজায় থাকবে।

Advertisement
আরও পড়ুন