কানের ব্যথা কমানোর সহজ উপায় জেনে নিন। ছবি: ফ্রিপিক।
কানের ব্যথা বড় কষ্ট দেয়। অল্প ঠান্ডা লাগলে, সামান্য বৃষ্টি হলে অথবা সর্দি-কাশিতে কফ জমলে কানে ব্যথা হবেই। অনেকেই ইয়ার বাড দিয়ে কানে খোঁচাখুঁচি করেন, তখনও ব্যথা হয়। কান থেকে ব্যথা মাথায় ছড়ায়। মাইগ্রেন থাকলে কষ্ট আরও বাড়ে। কানের যন্ত্রণায় যদি কষ্ট পান তা হলে চিন্তা নেই। উপায় আছে হাতের কাছেই। জেন নিন ব্যথা কমানোর কিছু ঘরোয়া উপায়।
আসলে মধ্যকর্ণেই সংক্রমণ বেশি ঘটে। অনেকেরই স্বভাব থাকে কটন বাড দিয়ে সারাক্ষণ কান পরিষ্কার করার। সেটা আরও বিপজ্জনক। মনে রাখতে হবে, সেগুলো হল কটন বাড। ইয়ার বাড নয়। প্রত্যেকের কানেই একটা ওয়্যাক্সের স্তর থাকে, যা কানের অন্দরমহলকে বাইরের ধুলোবালি থেকে রক্ষা করে। কিন্তু ঘন ঘন কটন বাড দিয়ে কান খোঁচালে সেই স্তর নষ্ট হয়ে যায়। এর পর সেখানে সংক্রমণ ঘটে সহজেই।
কানের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়
১) অল্প অল্প করে সেঁক দেওয়া যেতে পারে। গরম তেল জাতীয় কোনও কিছু কানের ভিতরে দেবেন না।
২) কানে ব্যথা সারাতে ভাল কাজ করে অলিভ অয়েল। কানে ব্যথা করলে তিন থেকে চার ফোঁটা অলিভ ঢেলে দিন। অথবা অলিভ অয়েলে কটন বাড ভিজিয়ে কানের ফুটোয় চেপে রাখুন।
৩) অল্প অলিভ তেলে এক কোয়া রসুন থেঁতো করে গরম করুন। তেল গরম হলে ছেঁকে নিয়ে তা সংক্রমিত কানে দু’তিন ফোঁটা দিন। বারকয়েক এমন করলে একটু আরাম পাবেন।
৪) প্রত্যেকটি ইয়ারড্রপ ব্যবহারের একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকে। কোনও মতেই পুরনো ইয়ারড্রপ ব্যবহার করবেন না।
৫)কয়েকটি তুলসি পাতা বেটে রস বের করে নিন। এই রস তিন থেকে চার ফোঁটা কানে ঢালুন। দিনে দু’বার করলেই ব্যথা অনেক কমে যাবে।
৬) মোবাইলের সঙ্গে সকলেই প্রায় ইয়ারফোন ব্যবহার করে থাকেন। কারও সঙ্গে ইয়ারফোন শেয়ার না করাই ভাল। নিজের ইয়ারফোনও আলাদা বাক্সে ভরে ব্যাগে বা পকেটে ক্যারি করুন। ইয়ারফোন ব্যাগের মধ্যে ফেলে রেখে দিলে তাতে ধুলোবালি ও ব্যাক্টেরিয়া বাসা বাঁধতে পারে। কানে গোঁজার সময়ে তা সহজেই কানের ভিতরে প্রবেশ করে। ফলে সংক্রমণ হতে বেশি সময় লাগে না।
৭) রোজ স্নানের পরে তোয়ালে দিয়ে কানের যতটা অংশ পারবেন, মুছে নিন। জোর করে কানের ভিতরে খোঁচাখুচি করবেন না।