Maha Mrityunjay Mantra

মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র পাঠে বদলাবে জীবন, মহাদেব তুষ্ট হবেন নিশ্চিত! তবে নিয়ম মেনে পাঠ না করলে হতে পারে বিপদ

কথিত রয়েছে, মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র নাকি মহাদেবের সবথেকে প্রিয় মন্ত্র। কিন্তু সেই মন্ত্র যখন-তখন যে কোনও ভাবে পাঠ করলেই হবে না।

Advertisement
বাক্‌সিদ্ধা গার্গী
শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০২৫ ১২:২৭

—প্রতীকী ছবি।

দেবাদিদেব যেমন অল্পে তুষ্ট হন, তেমনই অল্পে রুষ্টও হন। হিন্দুশাস্ত্রে দেবাদিদেবকে আরাধনা করার নানা উপায়ের কথা বলা রয়েছে। নানা মন্ত্র পাঠের দ্বারা মহাদেবকে সন্তুষ্ট করা যায়। সেগুলির মধ্যে সবথেকে উল্লেখযোগ্য হল মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র। কথিত রয়েছে, মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র নাকি মহাদেবের সবথেকে প্রিয় মন্ত্র। কিন্তু সেই মন্ত্র যখন-তখন যে কোনও ভাবে পাঠ করলেই হবে না। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র পাঠের নানা নিয়ম রয়েছে। সেগুলি নিষ্ঠা সহকারে মেনে মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্রে পাঠ করতে হবে। তা হলে খুব ভাল ফল পাওয়া যাবে। মহাদেবের আশীর্বাদ আপনার উপর বর্তাবে নিশ্চিত।

Advertisement

মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র:

‘‘ওঁ ত্রম্বকম যজামহে সুগন্ধিং পুষ্টি বর্ধনম।।

ঊর্বারু কমিব বন্ধনাৎ মৃত্যুমক্ষীয় মামৃতাৎ।।’’

মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র পাঠের তাৎপর্য কী?

শিবের সকল মন্ত্রগুলির মধ্যে মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্রকে সবথেকে শক্তিশালী মন্ত্র হিসাবে গণ্য করা হয়। ঋগ্বেদে এই মন্ত্রের উল্লেখ পাওয়া যায়। কথিত রয়েছে, আগেকার দিনে লোকেরা বহু দিনের কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে, নিজেকে শত্রুর হাত থেকে রক্ষা করতে এবং মৃত্যুভয় কাটিয়ে ওঠার জন্য মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র পাঠ করতেন।

মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র পাঠের উপকারিতা:

১. এই মন্ত্র পাঠ করলে খুব সহজেই যে কোনও প্রকার ভয়কে জয় করা সম্ভব।

২. কথিত রয়েছে, নিষ্ঠাভরে এবং সঠিক নিয়ম মেনে এই মন্ত্র পাঠ করলে অকালমৃত্যুর হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়। যে কোনও প্রকার দুর্ঘটনার শঙ্কা থেকে মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র আপনাকে রক্ষা করবে।

৩. কালসর্প দোষের কুপ্রভাব এই মন্ত্র পাঠের ফলে কিছুটা হলেও কমবে।

৪. মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র মনোযোগ সহকারে পাঠ করলে একাগ্রতা বৃদ্ধি পায়। জীবনে সব দিক দিয়ে উন্নতি লাভ করা যায়।

৫. এই মন্ত্র জপ করলে রোগব্যাধি থেকেও অনেকাংশে রক্ষা পাওয়া যায়।

মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র পাঠের নিয়ম:

মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র পাঠের নানা নিয়ম রয়েছে। সেই সকল নিয়ম ভক্তিভরে মেনে নিয়ে পাঠ করলে পরেই ভাল ফল পাওয়া যাবে, মনের ইচ্ছা পূরণ হবে, নচেৎ নয়। জেনে নিন সেই নিয়মগুলি কী কী—

১. সূর্যোদয়ের আগে, অর্থাৎ ব্রাহ্মমুহূর্ত হল এই মন্ত্র পাঠ করার আদর্শ সময়।

২. সেই সময় ঘুম থেকে উঠে স্নান করে নিতে হবে। তার পর পরিষ্কার, কাচা জামাকাপড় পরতে হবে।

৩. কুশের আসন পেতে তার উপর পা মুড়ে, পদ্মাসনের ভঙ্গিতে বসতে হবে।

৪. সামনে একটি শিবমূর্তি বা শিবলিঙ্গ রেখে একটি প্রদীপ জ্বালিয়ে মহাদেবের পাশে রাখতে হবে।

৫. হাতে একটি রুদ্রাক্ষের মালা নিয়ে গুনতে গুনতে ১০৮ বার মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র জপ করুন। মন্ত্রটি জপ করার সময় আপনার মন যেন অন্য কোনও দিকে না যায়, এক মনে এই মন্ত্র জপ করতে হবে। মন্ত্রটি পাঠ করার মাঝে কোথাও উঠে যাওয়া যাবে না। কেউ ডাকলে সাড়াও দেওয়া যাবে না।

৬. মন্ত্রপাঠ শেষে দেবাদিদেবকে প্রণাম করে নিজের মনের সকল বাসনা জানান, এবং সব জিনিস তুলে নিয়ে পরিষ্কার জায়গায় রেখে দিন।

Advertisement
আরও পড়ুন