আজকাল শরীরের বিভিন্ন স্থানে উল্কি আঁকার প্রবণতা
রমরমিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। নামীদামি তারকা থেকে সাধারণ মানুষ, সকলেরই উল্কির প্রতি
ঝোঁক দেখা যাচ্ছে। পৃথক পৃথক মানুষ তাঁদের পছন্দের ভিত্তিতে শরীরের নানা অংশে
আঁকিবুকি করিয়ে থাকেন। কেউ নিজের মা-বাবার নাম লেখান, কোনও মানুষ নকশা করান, অনেকে
আবার নানা ধর্মীয় বাণী বা চিহ্নও আঁকিয়ে থাকেন। বহু আস্তিক মানুষ আবার তাঁদের
পছন্দের দেবতার ছবিও উল্কি করান। কিন্তু শাস্ত্র জানাচ্ছে শরীরের যে কোনও অংশে
ধর্মীয় কোনও জিনিস বা ভগবান সংক্রান্ত উল্কি করানো উচিত নয়। এগুলি করার ক্ষেত্রে
কিছু নিয়ম অবলম্বন করে চলাও জরুরি।
শরীরে ধর্মীয় উল্কি করানোর নিয়মগুলি কী?
- শরীরের কিছু অংশে ধর্মীয় উল্কি করানো উচিত নয়। এরই সঙ্গে
সেই উল্কি করানোর ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত। না হলে সুফল প্রাপ্তি
হয় না। সঠিক নিয়ম মেনে ধর্মীয় উল্কি করালে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়। এরই সঙ্গে নানা
দিক দিয়ে সুফল লাভ করা যায়।
- জ্যোতিষমতে, হাতে বা পায়ে কোনও ধর্মীয় উল্কি করানো উচিত নয়।
বিশেষ করে কোনও দেবতার ছবি বা মন্ত্রের উল্কি বাহুর নীচের অংশে বা পায়ে করানো মোটেও
ঠিক নয়। এতে তাঁরা রুষ্ট হতে পারেন। এগুলি শরীরের এমন স্থানে করানো উচিত
যেখানে কোনও ময়লা বা এঁটোর স্পর্শ আসবে না।
- হাত, পিঠ বা কোমরে ধর্মীয় চিহ্নের উল্কি করা যেতে পারে। কিন্তু
সেগুলির আকৃতি বিকৃত করা যাবে না। নিজের মনের মতো করে সেটিকে সাজানোও যাবে না।
সেগুলির সঠিক আকৃতি মেনে উল্কি করানো যেতে পারে।
- মন্ত্রের উল্কি করানোর ক্ষেত্রেও শব্দ বিকৃত যেন না হয় সে
বিষয়ে নজর রাখতে হবে। না হলে শরীরের উপর নেগেটিভ প্রভাব পড়তে পারে।