Student Murder in Uttarakhand

চিনা নই, আমি তো ভারতীয়! উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ জানানোর পর ক্ষণেই হামলা, উত্তরাখণ্ডে কুপিয়ে খুন যুবককে

অভিযোগ, দৈনন্দিন জিনিসপত্র কেনাকাটার জন্য বাজারে গিয়ে সে দিন হেনস্থার শিকার হন পড়ুয়া এবং তাঁর ভাই। পাঁচ-ছ’জনের একটি দল তাঁদের ‘চিনা’ বলে উত্ত্যক্ত করে থাকে বলে অভিযোগ।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৬:১৯
ত্রিপুরার পড়ুয়াকে উত্তরাখণ্ডে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ।

ত্রিপুরার পড়ুয়াকে উত্তরাখণ্ডে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ। — প্রতীকী চিত্র।

ত্রিপুরার এক পড়ুয়াকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল উত্তরাখণ্ডের দেহরাদূনে। ২৪ বছর বয়সি ওই নিহত যুবকের নাম অ্যাঞ্জেল চাকমা। অভিযোগ, ‘চিনা’ বলে তাঁকে উত্যক্ত করা হচ্ছিল। প্রতিবাদ করাতেই ঝামেলার সূত্রপাত হয়। ১৭ দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি থাকার পরে শুক্রবার রাতে মৃত্যু হয় ওই পড়ুয়ার।

Advertisement

ঘটনাটি ঘটেছিল গত ৯ ডিসেম্বর। ওই দিন দেহরাদূনের একটি বাজারে গিয়েছিলেন অ্যাঞ্জেল। অ্যাঞ্জেলের সঙ্গে তাঁর ভাইও ছিলেন। অভিযোগ, দৈনন্দিন জিনিসপত্র কেনাকাটার জন্য বাজারে গিয়ে সে দিন হেনস্থার শিকার হন তাঁরা। পাঁচ-ছ’জনের একটি দল তাঁদের ‘চিনা’ বলে উত্ত্যক্ত করে থাকে। ওই ঘটনার প্রতিবাদ জানান অ্যাঞ্জেল। তাঁর বন্ধুদের জানান, ওই সময়ে অ্যাঞ্জেল শান্ত ভাবেই বলেন, “আমরা চিনা নই। আমরা তো ভারতীয়। আপনারা বলুন আমাদের কী প্রমাণ দেখাতে হবে?” এর পরেই পরিস্থিতি তর্কাতর্কির পর্যায়ে পৌঁছে যায়। ওই সময়েই অ্যাঞ্জেলের মাথায় এবং পিঠে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ।

ঘটনার পরের দিনই থানা অভিযোগ দায়ের হয়। ইতিমধ্যে ওই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পাকড়াও করা হয় দুই নাবালককেও। পরে ওই এফআইআরে খুনের ধারাও যুক্ত করে পুলিশ। কী বলে ডেকে অ্যাঞ্জেলকে উত্ত্যক্ত করা হচ্ছিল, তা নিয়ে নির্দিষ্ট ভাবে কোনও মন্তব্য করেনি পুলিশ। তবে দেহরাদূনের এসএসপি অজয় সিংহ জানান, অ্যাঞ্জেলকে কিছু একটা বলে উত্ত্যক্ত করা হচ্ছিল বলে মনে করছেন তাঁরা।

জানা যাচ্ছে, ওই দিনের হামলায় অ্যাঞ্জেলের ঘাড়ে এবং পিঠে গুরুতর জখম হয়েছিল। তাঁর ভাইও গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নিহত যুবকের দেহ শনিবার ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় আগরতলায়। উত্তরাখণ্ডে এই হত্যার প্রতিবাদে সরব হয়েছে ত্রিপুরার আঞ্চলিক দলগুলি। নিহতের পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন তিপ্রা মথা পার্টির নেতা প্রদ্যোৎবিক্রম মানিক্য দেববর্মা। এই হত্যাকাণ্ডে ন্যায়বিচারের দাবিতেও সরব হয়েছেন তিনি।

Advertisement
আরও পড়ুন