Marital Rape

স্ত্রীর অসম্মতি থাকলেও ‘অস্বাভাবিক’ যৌনমিলন অপরাধ নয়! পর্যবেক্ষণ ছত্তীসগঢ় হাই কোর্টের

সম্প্রতি স্বামীর সঙ্গে অস্বাভাবিক যৌনমিলনের পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ছত্তীসগঢ়ের এক যুবতী। সেই মামলাতেই উচ্চ আদালতে অব্যাহতি পেয়েছেন অভিযুক্ত স্বামী।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৩:৩৭

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

বিবাহিত যুগলের মধ্যে ‘অস্বাভাবিক’ যৌনমিলন শাস্তিযোগ্য অপরাধ নয়! এমনকি স্ত্রীর অসম্মতি থাকলেও তা অপরাধ বলে গণ্য হবে না। একটি মামলার প্রেক্ষিতে এমনটাই জানিয়েছে ছত্তীসগঢ় হাই কোর্ট।

Advertisement

সম্প্রতি স্বামীর সঙ্গে ‘অস্বাভাবিক’ যৌনমিলনের পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ছত্তীসগঢ়ের এক যুবতী। পেরিটোনাইটিস এবং পায়ুদ্বারে সংক্রমণের জেরে মৃত্যু হয়েছিল তাঁর। ওই ঘটনার পর মৃতার স্বামীকে অস্বাভাবিক যৌনতা এবং অনিচ্ছাকৃত হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেছিল সে রাজ্যের এক নিম্ন আদালত। পরে সেই মামলাতেই উচ্চ আদালতে অব্যাহতি পেয়েছেন অভিযুক্ত স্বামী।

উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘‘স্ত্রীর বয়স যদি ১৫ বছরের বেশি হয়, তা হলে স্বামীর সঙ্গে যে কোনও ধরনের যৌনমিলন কিংবা যৌন কার্যকলাপকে কোনও ভাবেই ধর্ষণ বলা যায় না। এ ক্ষেত্রে স্ত্রীর অনুমতি সংক্রান্ত বিষয়টি অবাস্তব। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারা অনুযায়ী ধর্ষণের সংশোধিত সংজ্ঞাও তা-ই বলে। ফলে ‘অস্বাভাবিক’ যৌনসম্পর্কে স্ত্রীর সম্মতি না থাকলেও তা অপরাধ বলে গণ্য করা যাবে না।’’

একই সঙ্গে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারা অনুযায়ী, স্বামী তাঁর আইনত বৈধ স্ত্রীর সঙ্গে একই ছাদের নীচে থাকলে অস্বাভাবিক যৌনতাকে দোষের বলা চলে না। আবার, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬বি ধারা অনুযায়ী, যদি আইনত বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও স্বামী এবং স্ত্রী আলাদা থাকেন, কেবলমাত্র সে ক্ষেত্রেই স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা যেতে পারে। তাই বিবাহিত যুগলের মধ্যে এ ধরনের ঘটনায় স্বামীকে কোনও ভাবেই ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ এবং ৩৭৭ ধারার অধীনে শাস্তি দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে আদালত।

Advertisement
আরও পড়ুন