UP Police Officer Transfer

‘ধরা পড়লে সবাই বলে ভাইবোন’! রাস্তায় পুলিশের নীতিপুলিশি, তুঙ্গে বিতর্ক, বদলি হলেন মহিলা আধিকারিক

ওই মহিলা পুলিশ আধিকারিকের নাম মঞ্জু সিংহ। মহিলা থানার এসএইচও মহিলাদের সুরক্ষা নিয়ে প্রচার করছিলেন রাস্তায়। প্রচারের জন্য তিনি হাজির হয়েছিলেন মউ জেলার বিখ্যাত শীতলা মন্দিরের সামনে। সেখানে দুই তরুণ-তরুণীকে আটকে নানা প্রশ্ন করতে থাকেন তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৮:১৮
UP Police Officer Transfer

ভাইবোনকে ধরে নানা প্রশ্ন করে শাস্তি পেলেন পুলিশ আধিকারিক। ছবি: সংগৃহীত।

মন্দিরে যাচ্ছিলেন দুই তরুণ-তরুণী। হঠাৎ এল পুলিশি বাধা। নানা প্রশ্ন। তরুণ বললেন, নাবালিকা তাঁর সহোদরা। কিন্তু বিশ্বাস হয়নি মহিলা পুলিশ আধিকারিকের। তাঁর দাবি, ধরা পড়লে সমস্ত প্রেমিক-প্রেমিকা বলে তারা ভাইবোন। তরুণ-তরুণীর বাবার ফোন নম্বর নিয়ে কথা বলেন তিনি। তার পর আবার একপ্রস্ত ‘জ্ঞানের কথা।’

Advertisement

দিন কয়েক আগে ঘটনাটি ঘটে উত্তরপ্রদেশের মউ জেলার একটি মন্দিরের সামনে। এক মহিলা পুলিশ আধিকারিক ভাইবোনকে আটকে নানা প্রশ্ন করছিলেন। তখন তাঁদের ভিডিয়ো করেছিলেন কেউ। সমাজমাধ্যমে তা ভাইরাল হতেই নিন্দার মুখে পড়ে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। আইনের রক্ষক কী ভাবে নীতিপুলিশি করছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ওই ভিডিয়ো চোখে পড়তেই নড়েচড়ে বসে যোগী আদিত্যনাথের পুলিশ। ভিডিয়োর সত্যাসত্য যাচাই করে স্টেশন হাউস অফিসার বা এসএইচও-কে বদলি করে দিয়েছে অন্য থানায়।

বিতর্কে জড়ানো মহিলা পুলিশ আধিকারিকের নাম মঞ্জু সিংহ। মহিলা থানার এসএইচও মহিলাদের সুরক্ষা নিয়ে প্রচার করছিলেন রাস্তায় রাস্তায়। প্রচারের জন্য তিনি হাজির হয়েছিলেন মউ জেলার বিখ্যাত শীতলা মন্দিরের সামনে। সেখানে দুই তরুণ-তরুণীকে আটকে নানা প্রশ্ন করতে থাকেন। দুই তরুণ-তরুণ জানান, তাঁরা সম্পর্কে ভাইবোন। কিন্তু বিশ্বাস করেননি মঞ্জু। তাঁর স্থির বিশ্বাস, দু’জন প্রেম করতে বেরিয়েছেন। ভিডিয়োয় দেখা যায়, তরুণ বার বার ওই পুলিশ আধিকারিককে বলছেন, তিনি বোনকে নিয়ে মন্দির দর্শনে এসেছেন। তাঁদের বাড়ি গাজ়িপুরে। কিন্তু কে শোনে কার কথা।

দুই তরুণ-তরুণীর সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে তাঁদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলতে চান ওই পুলিশ আধিকারিক। উপায়ান্তর না দেখে তরুণ-তরুণী তাঁদের বাবার ফোন নম্বর দেন মঞ্জুকে। কথা হয়।

তার পরেও নীতিপুলিশি শেষ হয়নি। মঞ্জু জানান, এ ভাবে দুই তরুণ-তরুণীর রাস্তায় ঘোরা নাকি খারাপ। মেয়েটির উচিত, বাড়ি থেকে বার হলেই অভিভাবককে সঙ্গে নেওয়া। নাবালিকা জানায়, সঙ্গের তরুণ তো তার দাদা। এবং তিনি সাবালক। কিন্তু তাতেও আপত্তি পুলিশ আধিকারিকের।

ওই দৃশ্য সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পরে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ অভিযুক্ত আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। তাঁকে অন্য একটি থানায় বদলি করা হয়েছে বলে জানান মউ জেলার পুলিশ সুপার অনুপ কুমার। তিনি মেনে নেন, পুলিশমহলের মধ্যে একটি অংশের স্বভাব নিয়ে সমস্যা রয়েছে। এসপি বলেন, ‘‘জেলা জুড়ে পুলিশকে সচেতন করা হবে। তাদের এক্তিয়ারের বাইরে কোনও কাজ করা উচিত নয়। আমার অফিস থেকেও একটি সতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।’’

Advertisement
আরও পড়ুন