Delhi Pollution

দিনে ২১০০০ বার শ্বাস নিতে হয়, দূষণ নিয়ে কেন্দ্রকে স্মরণ করাল দিল্লি হাই কোর্ট! প্রস্তাব: বায়ুশোধন যন্ত্রে জিএসটি কমুক

সম্প্রতি জিএসটি পরিকাঠামোয় বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বর্তমানে বায়ু শোধনকারী যন্ত্রের উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি নেওয়া হয়। তা কমিয়ে ৫ শতাংশ করার দাবিতে একটি মামলা হয়েছে হাই কোর্টে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৪:৪৯
দিল্লিতে দূষিত বাতাসের মাঝে স্কুলপড়ুয়ারা।

দিল্লিতে দূষিত বাতাসের মাঝে স্কুলপড়ুয়ারা। — ফাইল চিত্র।

দিল্লির বায়ুদূষণ নিয়ে ফের আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ল কেন্দ্রীয় সরকার। বায়ুদূষণ থেকে মুক্তি দিতে না-পারলে বায়ু শোধনকারী যন্ত্র (এয়ার পিউরিফায়ার)-এর উপর জিএসটি কমিয়ে দেওয়া হোক। বুধবার কেন্দ্রকে এমনটাই পরামর্শ দিয়েছে দিল্লি হাই কোর্ট। উদ্ভূত পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে সাময়িক ভাবে বায়ু শোধনকারী যন্ত্রে জিএসটি কমানোর প্রস্তাব দেয় আদালত। মানুষকে যে দিনে ২১ হাজার বার শ্বাস নিতে হয়, তা-ও কেন্দ্রকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে দিল্লি হাই কোর্ট।

Advertisement

সম্প্রতি জিএসটি পরিকাঠামোয় বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বর্তমানে বায়ু শোধনকারী যন্ত্রের উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি নেওয়া হয়। তা কমিয়ে ৫ শতাংশ করার দাবিতে একটি মামলা হয়েছে হাই কোর্টে। মামলাকারীর দাবি বায়ু শোধনকারী যন্ত্রকে একটি ‘মেডিক্যাল ডিভাইস’ (চিকিৎসা সংক্রান্ত সরঞ্জাম) হিসাবে বিবেচনা করা হোক। বুধবার ওই মামলার শুনানি হয় দিল্লি হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি দেবেন্দ্রকুমার উপাধ্যায় এবং বিচারপতি তুষাররাও গেদেলার বেঞ্চে।

ওই শুনানি চলাকালীনই হাই কোর্ট জানায়, প্রত্যেক দেশবাসীর বিশুদ্ধ বাতাস পাওয়া প্রয়োজন। যদি সেটি না করা যায়, তবে অন্তত বায়ু শোধনকারী যন্ত্রের উপর জিএসটি কমিয়ে দিয়ে যেতে পারে। এ বিষয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা করে আদালতে সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য বলেছে আদালত। হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের মন্তব্য, “অন্তত এটুকু তো আপনারা করতে পারেন। প্রত্যেক নাগরিকের বিশুদ্ধ বাতাস পাওয়া প্রয়োজন। যদি আপনারা তাতে ব্যর্থ হন, তবে অন্তত জিএসটি কমিয়ে দিতে পারেন। সাময়িক ভাবে ১৫ দিনের জন্য একটি ছাড় দিতে পারেন। বর্তমান পরিস্থিতিকে একটি জরুরি পরিস্থিতি হিসাবে বিবাচনা করুন।”

কেন্দ্রের আইনজীবীর উদ্দেশে আদালত আরও বলে, “আপনি দিনে কত বার নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস নেন? ২১০০০ বার। তা হলে এক বার হিসাব করে দেখুন আপনি নিজের কী ক্ষতি করছেন!” সরকার কী বিবেচনা করছে, তা বুধবারের মধ্যেই আদালতে জানাতে বলা হয়েছে। হাই কোর্ট জানিয়েছে, অবকাশকালীন বেঞ্চের জন্য মামলাটি শুধু নিয়ম পালনের জন্যই রাখা হবে।

Advertisement
আরও পড়ুন