Bangladesh Election

তারেকের সংবর্ধনার পাশাপাশি ভোটে আসন রফা ‘পাখির চোখ’ বিএনপির, কোন সহযোগী ক’জন প্রার্থী দিতে পারে?

জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে ২৭৫-এর আশপাশে প্রার্থী দিতে পারে খালেদার দল। বাকিগুলি দেওয়া হবে ‘সমমনোভাবাপন্ন’ দলগুলিকে। জমিয়তে উলেমায়ে ইসলাম পেয়েছে চারটি আসন।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৯:৩০
After Jamiat Ulema-e-Islam Bangladesh BNP preparing to finalise seat-sharing with some other political parties in 2026 General Election

(বাঁ দিকে) তারেক রহমান, খালেদা জিয়া (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

দলনেত্রী খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান দেশে ফিরছেন ১৭ বছর পরে। বৃহস্পতিবার তাঁকে স্বাগত জানাতে ইতিমধ্যেই বিএনপি কর্মী-সমর্থকদের ঢল নেমেছে ঢাকায়। কিন্তু এরই পাশাপাশি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদার দল জোরকদমে সহযোগী দলগুলির সঙ্গে আসন সমঝোতার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করতে দফায় দফায় আলোচনা চালাচ্ছে।

Advertisement

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ত্রয়োদশ নির্বাচনে ইসলামপন্থী দল জমিয়তে উলেমায়ে ইসলামের সঙ্গে মঙ্গলবারই রফা চূড়ান্ত করেছে বিএনপি। তাঁদের ছাড়া হচ্ছে চারটি আসন। সে দেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ জানাচ্ছে, জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে ২৭৫-এর আশপাশে প্রার্থী দিতে পারে খালেদা-তারেকের দল। বাকি আসনগুলি ছাড়া হবে ‘সমমনোভাবাপন্ন’ দলগুলিকে। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, সমমনা দল ও শরিকদের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘শরিকদের কতগুলো আসন দেওয়া হবে, তা যথাসময়ে ঘোষণা করা হবে।’’

খালেদার দলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, শরিকদের সঙ্গে যে সব আসনে সমঝোতা হবে, সেখানে বিএনপি কোনও প্রার্থী দেবে না। যে সব শরিক দলকে সমঝোতার মাধ্যমে নির্দিষ্ট আসন দেওয়া হবে, তারা কেবল সেগুলিতেই প্রার্থী দেবেন। সংশ্লিষ্ট আসনগুলিতে কোনও বিএনপি নেতা নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিলে পত্রপাঠ তাঁকে বহিষ্কার করা হবে। এই রফাসূত্র মেনেই বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান শাদাহাৎ হোসেনকে বিএনপির ধানের শিস প্রতীকে লক্ষ্মীপুর–১ (রামগঞ্জ) আসনে প্রার্থী করা হবে। বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদাও নিজের দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। তাঁকে কিশোরগঞ্জ–৫ কেন্দ্রটি দেওয়া হতে পারে। এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ ঢাকা-১৩ আসন চেয়েছেন। কিন্তু তাঁর দল নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত নয়। তাই তিনিও বিএনপিতে যোগ দিয়ে ধানের শিস প্রতীকে দাঁড়াতে পারেন।

বিএনপি এ পর্যন্ত দু’দফায় ২৭২টি আসনে দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। বাকি ২৮টির মধ্যে থেকেই সমঝোতার মাধ্যমে শরিকদের আসন ঠিক করা হবে। এর মধ্যে গতকাল জমিয়তকে চারটি আসন (সিলেট-৫, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২, নীলফামারী-১ ও নারায়ণগঞ্জ-৪) ছাড়া হয়েছে। দলের ওই সূত্র জানাচ্ছে, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকিকে একটি করে আসন ছাড়া হবে। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)-কে একটি এবং লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) অলি আহমদ ও মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদকে একটি করে আসন দেওয়ার বিষয়টিও প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। এ ছাড়া জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদকে একটি করে আসন ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি বিএনপি নেতৃত্বের বিবেচনায় রয়েছে। ঢাকা-১৭ আসনটি ছেড়ে দেওয়া হতে পারে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিভ রহমান পার্থকে।

Advertisement
আরও পড়ুন