(বাঁ দিকে) বিএনপি নেত্রী খালেদা জ়িয়ার শেষকৃত্যে যোগ দিতে ঢাকায় যাচ্ছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।
প্রয়াত বিএনপি নেত্রী খালেদা জ়িয়ার শেষকৃত্যে যোগ দিতে বুধবার ঢাকায় যাবেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। মঙ্গলবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, খালেদার শেষকৃত্যে ভারতের প্রতিনিধি হিসাবে জয়শঙ্কর উপস্থিত থাকবেন।
মঙ্গলবার সকাল ৬টা নাগাদ (বাংলাদেশের স্থানীয় সময় অনুসারে) ঢাকার হাসপাতালে মৃত্যু হয় খালেদার। একাধিক শারীরিক সমস্যা নিয়ে এক মাসেরও বেশি সময় ঢাকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করার কথা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হবে।
বুধবার দুপুর ২টোয় (বাংলাদেশের স্থানীয় সময় অনুসারে) খালেদার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। ঢাকার জাতীয় সংসদ ভবন মাঠ এবং মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় জিয়া উদ্যানে তাঁর স্বামী তথা বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জ়িয়াউর রহমানের পাশেই সমাধিস্থ করা হবে খালেদাকে।
খালেদার শেষকৃত্যের জন্য ঢাকায় নিরাপত্তা আরও আঁটোসাঁটো করা হচ্ছে। জ়িয়ার মরদেহ যে গাড়িতে থাকবে, সেটির নিরাপত্তায় ১০ হাজার পুলিশ (বাংলাদেশের আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্য-সহ) মোতায়েন করার কথা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম। নির্দিষ্ট কয়েকটি জায়গায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন সেনাবাহিনীর সদস্যেরাও।
খালেদার মৃত্যুর পরেই বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দলের তরফে শোকপ্রকাশ করা হয়েছে। শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা। খালেদার জানাজায় অংশ নেবেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী তথা বিদেশমন্ত্রী ইশাক দার।
হাসিনাকে কেন্দ্র করে গত এক বছর ধরেই ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপড়েন চলছে। সেই টানাপড়েন আরও বৃদ্ধি পেয়েছে গত দু’সপ্তাহে। বাংলাদেশের এক শ্রেণির নেতাদের ভারতবিরোধী মন্তব্যকে কেন্দ্র করে চাপানউতর বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। পড়শি দেশের তরুণ নেতা ওসমান হাদির মৃত্যুর পরে তা আরও বৃদ্ধি পায়। হাদির মৃত্যু ঘিরে ফের উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। সেই আবহে জয়শঙ্কর বাংলাদেশে যাচ্ছেন। যদিও এটা কোনও কূটনৈতিক সফর নয়!