Goa Night Club Fire

গোয়া অগ্নিকাণ্ড: নৈশক্লাবের ফেরার দুই মালিকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ! শীঘ্রই বাতিল হচ্ছে লুথরা ভাইদের পাসপোর্ট

গোয়ায় অগ্নিকাণ্ডের শিকার বার্চ বাই রোমিয়ো লেন নামে ওই নৈশক্লাবের ফেরার দুই মালিক গৌরব ও সৌরভকে গ্রেফতারের জন্য কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ চেয়ে বুধবারই কেন্দ্রের দ্বারস্থ হয়েছিল গোয়া সরকার। গোয়া সরকারের তরফে লুথরা ভাইদের পাসপোর্ট বাতিল করার আবেদন জানিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের কাছে বার্তাও পাঠানো হয়েছিল।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৯:৩০
গোয়ার নৈশক্লাবের অন্যতম মালিক দুই ভাই (বাঁ দিকে) গৌরব লুথরা এবং সৌরভ লুথরা (ডান দিকে)।

গোয়ার নৈশক্লাবের অন্যতম মালিক দুই ভাই (বাঁ দিকে) গৌরব লুথরা এবং সৌরভ লুথরা (ডান দিকে)। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

সাসপেন্ড করা হল গোয়ার নৈশক্লাবের ফেরার দুই মালিকের পাসপোর্ট! বৃহস্পতিবার সৌরভ লুথরা ও গৌরব লুথরা তথা লুথরা ভাইদের পাসপোর্ট অনির্দিষ্ট কালের জন্য সাসপেন্ড করে দিয়েছে গোয়া পুলিশ। ফলে আপাতত বিদেশে আত্মগোপন করে থাকতে পারবেন না অভিযুক্তেরা। পরবর্তী ধাপে তাঁদের পাসপোর্ট বাতিল করার পথে এগোবে গোয়ার বিজেপি সরকার।

Advertisement

গোয়ায় অগ্নিকাণ্ডের শিকার বার্চ বাই রোমিয়ো লেন নামে ওই নৈশক্লাবের ফেরার দুই মালিক গৌরব ও সৌরভকে গ্রেফতারের জন্য কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ চেয়ে বুধবারই কেন্দ্রের দ্বারস্থ হয়েছিল গোয়া সরকার। গোয়া সরকারের তরফে লুথরা ভাইদের পাসপোর্ট বাতিল করার আবেদন জানিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের কাছে বার্তাও পাঠানো হয়েছিল। তার প্রথম ধাপ হিসাবে আপাতত তাঁদের পাসপোর্ট সাসপেন্ড করা হয়েছে। সূত্রের খবর, এর পরবর্তী পদক্ষেপ হবে দুই ভাইয়ের পাসপোর্ট বাতিল করা।

ফৌজদারি মামলায় প্রায়শই পাসপোর্ট সাসপেন্ড বা স্থগিত করে দেওয়া হয়। সেই পাসপোর্ট পুনরায় সক্রিয় করার জন্য আইনি প্রক্রিয়া বা শর্ত পূরণ করতে হয়। বিদেশ মন্ত্রকের নিয়ম বলছে, ১৯৬৭ সালের পাসপোর্ট আইনের ১০এ ধারা অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সরকার বা যে কোনও মনোনীত কর্তা চাইলে কারও পাসপোর্ট সাসপেন্ড করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে, যাঁর পাসপোর্ট সাসপেন্ড করা হয়েছে, তিনি দেশ ত্যাগ করতে পারবেন না। লুথরা ভাইয়েরা ইতিমধ্যেই তাইল্যান্ডে পালিয়ে গিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে সেখানে তাঁদের পাসপোর্ট সাময়িক ভাবে অবৈধ হয়ে যাবে। ফলে তাঁরা তাইল্যান্ড ছাড়তে পারবেন না। বিদেশভ্রমণও করতে পারবেন না।

গোয়া পুলিশের অনুমান, অগ্নিকাণ্ডের পর তাইল্যান্ডের ফুকেটে পালিয়ে গিয়েছেন অভিযুক্ত দুই ভাই। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ৬ তারিখের অগ্নিকাণ্ডে ২৫ জনের মৃত্যুর পর রাত ১টা ১৭ মিনিট নাগাদ একটি অনলাইন ভ্রমণ সংক্রান্ত বুকিং সংস্থার ওয়েবসাইটে লগইন করেন লুথরা ভাইয়েরা। তার পর ভোরের বিমানে চেপে রওনা দেন ফুকেটের উদ্দেশে। গৌরব এবং সৌরভের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই ‘ব্লু কর্নার নোটিস’ জারি করেছে ইন্টারপোল। তবে এখনও তাঁদের নাগাল পাওয়া যায়নি। এর মাঝেই বুধবার তাইল্যান্ড থেকে দুই ভাই জানিয়েছেন, গ্রেফতারির ভয়ে তাঁরা দেশে ফিরতে পারছেন না। দেশে ফিরলে যেন তাঁদের গ্রেফতার না-করা হয়, তা নিশ্চিত করতে আগাম জামিনের আবেদনও করেছেন তাঁরা। তাইল্যান্ড থেকে বুধবার লুথরা ভ্রাতৃদ্বয় দিল্লির আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করেন। বৃহস্পতিবার ফের সেই মামলার শুনানি রয়েছে।

Advertisement
আরও পড়ুন