Meghalaya Honeymoon Murder Case

রহস্যের জট খুলেছে একটি কালো ট্রলিব্যাগ, মধুচন্দ্রিমা হত্যাকাণ্ডে নয়া তথ্য প্রকাশ্যে

চার্জশিটে স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে যে, মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমায় নিয়ে গিয়ে রাজাকে খুনের পরিকল্পনা করেছিলেন তাঁর স্ত্রী সোনম রঘুবংশী এবং সোনমের প্রেমিক রাজ কুশওয়াহাই। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, রহস্যের জট কাটাতে তাঁদের সাহায্য করেছে একটি কালো রঙের ট্রলিব্যাগ।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৭:০৪
(বাঁ দিক থেকে) সোনম রঘুবংশী, রাজা রঘুবংশী এবং রাজ কুশওয়াহা।

(বাঁ দিক থেকে) সোনম রঘুবংশী, রাজা রঘুবংশী এবং রাজ কুশওয়াহা। —ফাইল চিত্র।

রাজা রঘুবংশী হত্যাকাণ্ডে আদালতে ৭০০ পাতার চার্জশিট দাখিল করল মেঘালয় পুলিশ। চার্জশিটে স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে যে, মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমায় নিয়ে গিয়ে রাজাকে খুনের পরিকল্পনা করেছিলেন তাঁর স্ত্রী সোনম রঘুবংশী এবং সোনমের প্রেমিক রাজ কুশওয়াহাই। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, রহস্যের জট কাটাতে তাঁদের সাহায্য করেছে একটি কালো রঙের ট্রলিব্যাগ।

Advertisement

চার্জশিটে বলা হয়েছে, রাজার সঙ্গে মধুচন্দ্রিমায় যাওয়ার আগেই নিজের প্রয়োজনীয় জিনিস একটি কালো ট্রলিব্যাগে ভরে প্রেমিক রাজকে দিয়ে গিয়েছিলেন সোনম। মেঘালয় পুলিশের দাবি, এই ঘটনাই প্রমাণ করে যে, স্বামীকে মেঘালয়ে খুন করার পর রাজের সঙ্গে সংসার গড়ার পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন সোনম।

রাজাকে খুন করতে পূর্ব পরিকল্পনামাফিক তিন বন্ধু রোহিত চৌহান, আনন্দ কুর্মি এবং আকাশ সিংহ রাজপুতকে আগেই মেঘালয়ে পাঠিয়েছিলেন রাজ। মেঘালয় পুলিশের দাখিল করা চার্জশিটে বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ে স্বামী রাজাকে খুনের নির্দেশ দিয়েছিলেন সোনমই। ঘাতকদের তিনি বলেছিলেন, “এখানেই কাজটা সেরে ফেলো। পরে আর সুযোগ পাওয়া যাবে না।”

গত ২৩ মে মেঘালয় থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন রাজা এবং সোনম। ১০ দিন পরে ২ জুন চেরাপুঞ্জির জলপ্রপাতের ধার থেকে রাজার দেহ উদ্ধার করা হয়। এরও অনেক পরে উত্তরপ্রদেশের গাজ়িপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় সোনমকে। মেঘালয় পুলিশ জানিয়েছিল, সোনম আত্মসমর্পণ করেছেন। রাজার খুনে তিনিই মূল অভিযুক্ত। এ ছাড়া, তাঁর প্রেমিক রাজ এবং কয়েক জন সহযোগীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে শিলঙের কারাগারেই বন্দি রয়েছেন সোনমরা। চলতি সপ্তাহেই তাঁর জামিনের আর্জি খারিজ করে দিয়েছে শিলঙ্কের একটি আদালত।

Advertisement
আরও পড়ুন