Narendra Modi

মঙ্গলবার সকালে সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা দিলেন মোদী, যুবরাজ সলমনের আমন্ত্রণে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক

সৌদির প্রধানমন্ত্রী তথা সে দেশের যুবরাজ সলমনের আমন্ত্রণে সে দেশে যাচ্ছেন মোদী। সেখানে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হবে দু’দেশের প্রধানের। মোদী আরও জানিয়েছেন, উভয় দেশই প্রতিরক্ষা থেকে শুরু করে জনসংযোগ— সব ক্ষেত্রেই পারস্পরিক সহযোগিতা প্রদানে বদ্ধপরিকর।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৫ ১২:১৯

ছবি: পিটিআই।

শুরু হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দু’দিনের সৌদি আরব সফর। মঙ্গলবার সকালেই জ়েড্ডার উদ্দেশে রওনা হয়ে গিয়েছেন তিনি। বিশ্বের কূটনৈতিক মহলের চোখ এখন সে দিকেই। কারণ, সৌদির যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সলমনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন মোদী। আলোচনা হবে প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জ্বালানি এবং জনসংযোগ বিষয়ে।

Advertisement

মঙ্গলবার সকালে সফর শুরুর আগে মোদী বলেন, ‘‘আঞ্চলিক শান্তি, সমৃদ্ধি, নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা বৃদ্ধিতে দুই দেশই বদ্ধপরিকর। ভারত সৌদি আরবের সঙ্গে তার ঐতিহাসিক সম্পর্ককে সম্মান করে। তা ছাড়া, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীরতা ও গতি পেয়েছে।’’ সৌদির প্রধানমন্ত্রী তথা সে দেশের যুবরাজ সলমনের আমন্ত্রণে সে দেশে যাচ্ছেন মোদী। সেখানে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হবে দু’দেশের প্রধানের। মোদী আরও জানিয়েছেন, উভয় দেশই প্রতিরক্ষা থেকে শুরু করে জনসংযোগ— সব ক্ষেত্রেই পারস্পরিক সহযোগিতা প্রদানে বদ্ধপরিকর। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করতে জনগণের ভূমিকাও অস্বীকার করেননি ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সৌদিতে বসবাসকারী প্রবাসী ভারতীয়দের দু’দেশের মধ্যে ‘জীবন্ত সেতু’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন তিনি।

শুধু তা-ই নয়, ভারতে সৌদির অপরিশোধিত তেল রফতানি এবং তৈল সংশোধনাগারে বিনিয়োগের বিষয়েও আশাবাদী কূটনৈতিক মহল। প্রসঙ্গত, সৌদি আরব ভারতে সর্বোচ্চ অপরিশোধিত তেল রফতানিকারক দেশগুলির মধ্যে একটি। মোদী জমানায় সৌদি-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও পোক্ত হয়েছে বলেই দাবি সাউথ ব্লকের। তাই মোদীর সফরের পর রিয়াধ ভারতকে তেল রফতানিতে কিছুটা ছাড় দেয় কি না, সে নিয়েও চলছে জল্পনা।

যদিও মোদীর সৌদি আরব সফর এই প্রথম নয়। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই নিয়ে তৃতীয় বার সৌদিতে যাচ্ছেন মোদী। এর আগে ২০১৬ সালে এবং ২০১৯ সালেও সে দেশে গিয়েছিলেন তিনি। ২০২৩ সালে ভারতে এসেছিলেন সৌদির যুবরাজ সলমন।

Advertisement
আরও পড়ুন