Jan Suraaj Party

দলের সব সাংগঠনিক কমিটি ভেঙে দিলেন পিকে! বিহার নির্বাচনে ভরাডুবির পর নয়া পথে হাঁটতে চাইছে জেএসপি?

শনিবার জেএসপি-র রাজ্য সভাপতি মনোজ ভারতীর নেতৃত্বে পটনায় দলের জাতীয় কাউন্সিলের বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পিকে-ও। বিবৃতিতে জানানো হয়, ওই বৈঠকে সব সাংগঠনিক কমিটি ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৫ ১১:০০
Prashant Kishor\\\\\\\'s Jan Suraaj Party dissolves all organisational units

প্রাক্তন ভোটকুশলী তথা জন সুরাজ পার্টির প্রধান প্রশান্ত কিশোর। — ফাইল চিত্র।

বিহার বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর এ বার বড় পদক্ষেপ করল প্রশান্ত কিশোরের দল জন সুরাজ পার্টি (জেএসপি)। পঞ্চায়েত থেকে রাজ্য স্তরে জেএসপি-র আর কোনও সাংগঠনিক কমিটি থাকবে না বলেই জানানো হয়েছে দলীয় নেতৃত্বের তরফে।

Advertisement

জেএসপি-র মুখপাত্র সৈয়দ মসিহ উদ্দিন একটি বিবৃতি জারি করে দলের নতুন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। কেন সব স্তরের সাংগঠনিক কমিটি বিলুপ্ত করা হল, তা-ও জানানো হয়েছে বিবৃতিতে। তিনি জানান, আগামী দেড় মাসের মধ্যে নতুন কমিটি গঠন করা হবে।

শনিবার জেএসপি-র রাজ্য সভাপতি মনোজ ভারতীর নেতৃত্বে পটনায় দলের জাতীয় কাউন্সিলের বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পিকে-ও। বিবৃতিতে জানানো হয়, ওই বৈঠকেই সব সাংগঠনিক কমিটি ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিবৃতি অনুযায়ী, পঞ্চায়েত স্তর থেকে রাজ্য স্তরের সব সাংগঠনিক কমিটি ঢেলে সাজানো হবে। সক্রিয় এবং কার্যকর কমিটি গঠন করা হবে নতুন করে। দলের ১২ জন বরিষ্ঠ নেতাকে কমিটি গঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কেন বিহারে এমন পরাজয় হল, তার কারণ খোঁজার কাজও দেওয়া হয়েছে ওই নেতাদের। কারণগুলি চিহ্নিত করে তা নিয়ে দলের মধ্যে আলোচনা করা হবে। যদি কোনও নেতা দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ বা বিশ্বাসঘাতকতার মতো অপরাধ করে থাকেন, তবে তাঁদের চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিহার ভোটের আগে ভোটকুশলী পিকে নতুন ভূমিকায় রাজনীতিতে পা দেন। নিজের দল গঠন করে ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নেন। তবে অনেকের মনেই প্রশ্ন ছিল, ভোটারদের মন বুঝে কোনও দলের জন্য ভোট-কৌশল তৈরি করা পিকে কি রাজনীতিক হিসাবে ততটা সাড়া ফেলতে পারবেন? আদৌ তাঁর দল নির্বাচনে কোনও প্রভাব ফেলতে পারবে কি না, তা নিয়েও সংশয় ছিল। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করেছিল, ভোটে তেমন ভাল ফল করতে না-পারলেও ‘ভোটকাটুয়া’ হতে পারে পিকে-র দল। যদিও ভোটের ফল থেকে স্পষ্ট সেই ভূমিকাতেও ফেল করেছে পিকে-র দল। তার উপর বিহার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না-করার সিদ্ধান্তও যে ‘বড় ভুল’ ছিল, তা পরে নিজেই স্বীকার করেছিলেন পিকে। ভোটের ফলপ্রকাশের পর কেউ কেউ জেএসপি-র ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।

Advertisement
আরও পড়ুন