Russia on India-China Relationship

ভারত ও চিনের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে পশ্চিমি বিশ্ব! দাবি রুশ বিদেশমন্ত্রীর, কী ভাবে? ব্যাখ্যাও দিলেন

রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ দাবি করেছেন, ভারত এবং চিনের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে পশ্চিমি বিশ্ব। উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য ইচ্ছাকৃত ভাবে উস্কানি দেওয়া হচ্ছে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০২৫ ১৮:৩০
Russian foreign minister Sergei Lavrov says the West is trying to drive a wedge between India and China

(সামনে) রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (পিছনে)। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

ভারত এবং চিন, দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে পশ্চিমি বিশ্ব। এমনটাই দাবি করলেন রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তিনি জানিয়েছেন, এই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য ইচ্ছাকৃত ভাবে উস্কানি দেওয়া হচ্ছে। পশ্চিমি বিশ্ব বললেও আলাদা করে পশ্চিমের কোনও দেশের নাম করেননি লাভরভ। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিকেও পশ্চিমি আগ্রাসনের মুখে একজোট থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

রাশিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা তাস বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্য উদ্ধৃত করেছে। লাভরভ বলেছেন, ‘‘ভারত আর চিনের মধ্যে বিভেদ তৈরি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমি দুনিয়া। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের সাম্প্রতিক ঘটনাগুলি দেখুন। পশ্চিমি দুনিয়া তো এই অঞ্চলকে ‘ইন্দো-প্যাসিফিক’ বলে উল্লেখ করতে শুরু করেছে। স্পষ্টতই এটি চিন-বিরোধী একটি পদক্ষেপ। চিন এবং ভারত পরস্পরের প্রতিবেশী এবং খুব ভাল বন্ধু। কিন্তু তাদের মধ্যে বিরোধ তৈরি করা হচ্ছে।’’

চিন-ভারতের মধ্যে বিরোধের এই নীতিকে ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল’ নীতি বলে উল্লেখ করেছেন রুশ বিদেশমন্ত্রী। তিনি জানান, এই নীতির উল্লেখ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও। পশ্চিমের এই ‘চক্রান্ত’ থেকে দুই দেশকে সাবধান থাকতে বলেছেন লাভরভ।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১০টি দেশকে নিয়ে গঠিত ‘আসিয়ান’ সংগঠনেও পশ্চিমি দুনিয়ার প্রভাব বিস্তারের কথা উল্লেখ করেছেন রুশ বিদেশমন্ত্রী। তাঁর দাবি, এই সংগঠনকে দুর্বল করার চেষ্টা চলছে। লাভরভের কথায়, ‘‘বিশ্বের অন্য অংশের মতো এখানেও পশ্চিমি শক্তিগুলি প্রভাব খাটাতে চাইছে। এত বছর ধরে যে সংগঠন সকলের উন্নতির জন্য কাজ করে এসেছে, সেই ‘আসিয়ান’কে দুর্বল করতে চাইছে ওরা।’’ লাভরভের উল্লিখিত ‘আসিয়ান’-এ কিন্তু ভারত বা চিন নেই। এই সংগঠনের অন্তর্গত দেশগুলি হল ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ফিলিপিন্স, তাইল্যান্ড, ব্রুনেই, মায়ানমার, কম্বোডিয়া, লাওস এবং ভিয়েতনাম।

উল্লেখ্য, ভারত এবং পাকিস্তানের সংঘাতে সম্প্রতি দক্ষিণ এশিয়ার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। তবে দুই দেশের মধ্যে এখন সংঘর্ষবিরতি চলছে। তার মাঝে অন্য প্রতিবেশীর সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক উল্লেখ করে পশ্চিমি দুনিয়াকে বিঁধলেন রুশ বিদেশমন্ত্রী।

Advertisement
আরও পড়ুন