SCO Summit in China

‘ইউক্রেন সঙ্কট মেটাতে’ ভারত এবং চিনের ভূমিকার প্রশংসায় পুতিন! মোদীর সঙ্গে একই গাড়িতে চেপে গেলেন বৈঠকে

এসসিও বৈঠকে নিজের বক্তব্য পেশ করার পরেই মোদীর সঙ্গে পার্শ্ববৈঠকের জন্য রওনা দেন পুতিন। একই গাড়িতে সওয়ার হয়ে বৈঠক করতে যান দুই রাষ্ট্রপ্রধান। ভারতীয় সময় বেলা ১২টার কিছু পরে মোদী এবং পুতিনের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শুরু হয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:১৮
একই গাড়িতে সওয়ার হয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করতে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী এবং ভ্লাদিমির পুতিন।

একই গাড়িতে সওয়ার হয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করতে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী এবং ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: সংগৃহীত।

ইউক্রেন সঙ্কট মেটাতে ভারত এবং চিনের ভূমিকার প্রশংসা করলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একই সঙ্গে সাড়ে তিন বছর ধরে চলা রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য দু’টি কারণকে দায়ী করলেন তিনি। এসসিও বৈঠকে নিজের বক্তব্য পেশ করার পরেই মোদীর সঙ্গে পার্শ্ববৈঠকের জন্য রওনা দেন পুতিন। একই গাড়িতে সওয়ার হয়ে বৈঠক করতে যান দুই রাষ্ট্রপ্রধান। ভারতীয় সময় বেলা ১২টার কিছু পরে মোদী এবং পুতিনের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শুরু হয়েছে।

Advertisement

চিনের তিয়ানজিন শহরে এসসিও সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে বক্তব্য পেশ করেন রুশ প্রেসিডেন্ট। সেখানেই তিনি বলেন, ইউক্রেন সঙ্কট মেটাতে চিন এবং ভারতের ভূমিকার প্রশংসা করছি আমরা।” কয়েক দিন আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অন্যতম পরামর্শদাতা পিটার নাভারো ইউক্রেন যুদ্ধকে ‘মোদীর যুদ্ধ’ বলে দাবি করেছিলেন। নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেছিলেন, ভারত রাশিয়া থেকে তেল কিনছে বলেই ওই টাকা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঢালতে পারছে মস্কো। সোমবার অবশ্য পুতিন এই দাবি নস্যাৎ করে জানিয়েছেন, আমেরিকার নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট নেটো আর পশ্চিমি দুনিয়া হস্তক্ষেপ করার জন্যই এই যুদ্ধ শুরু হয়।

তবে একই সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে ট্রাম্পের উদ্যোগেরও প্রশংসা করেন পুতিন। এই প্রসঙ্গে ১৫ অগস্টের আলাস্কা বৈঠকের কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। পুতিন বলেন, “আমি এটাও বলতে চাই যে সম্প্রতি আলাস্কায় রাশিয়া এবং আমেরিকার বৈঠকে একটা বোঝাপড়া হয়। আমার মনে হয়, নির্দিষ্ট লক্ষ্যপূরণে তা কাজ করবে।” কী সেই বোঝাপড়া এবং লক্ষ্য, তা এ দিনও খোলসা করেননি তিনি। তবে আলাস্কা বৈঠকের কথা বলে আদতে পুতিন ভারসাম্যের বার্তা দিলেন বলেই মনে করা হচ্ছে। এক দিকে যেমন, আমেরিকার ভাষ্যকে নস্যাৎ করে তিনি ইউক্রেন সঙ্কট মেটাতে নয়াদিল্লির উদ্যোগের প্রশংসা করলেন, তেমনই ট্রাম্পের শান্তিপ্রতিষ্ঠার উদ্যোগকেও স্বীকৃতি দিলেন। ট্রাম্পের শুল্কনীতির সমালোচনা করা পুতিনের এই পদক্ষেপকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

Advertisement
আরও পড়ুন