Cucumber Toner

বর্ষায় ত্বকের সংক্রমণ বাড়ে, জ্বালা-চুলকানি, র‌্যাশ থেকে বাঁচতে কী কী ব্যবহার করবেন?

বর্ষাকাল মানেই অ্যালার্জি সংক্রমণের ভয়। আবার ত্বকে দাগছোপের সমস্যাও বাড়ে। এই সময়ে কী ভাবে ত্বকের যত্ন নেবেন?

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০২৫ ১৮:৩০
গালের কালচে দাগছোপ তুলতে ব্যবহার করতে পারেন শসার টোনার, কী ভাবে বানাবেন?

গালের কালচে দাগছোপ তুলতে ব্যবহার করতে পারেন শসার টোনার, কী ভাবে বানাবেন? ছবি: ফ্রিপিক।

বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মুখের ত্বকে কালচে ছোপ পড়তে শুরু করে অনেকেরই। আবার কারও কারও ক্ষেত্রে চারপাশের ধুলো ময়লা, অতিরিক্ত রোদে থাকার জন্যও এমনটা হয়। ত্বকে কালচে ছোপ পড়লে তা মুখের স্বাভাবিক ঔজ্জ্বল্য নষ্ট করে দেয়। নষ্ট হয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও। তবে একটু সময় নিয়ে ত্বকের যত্ন নেওয়া গেলে এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

Advertisement

বর্ষার সময়ে আবার ত্বকে অ্যালার্জির সমস্যাও বাড়ে। স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় ছত্রাক, ভাইরাস এবং ব্যাক্টেরিয়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। বাতাসে উড়ে বেড়ায় বলে চোখে পড়ে না। এই ধরনের জীবাণুর সংস্পর্শে ত্বকে অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সতর্ক থাকা জরুরি।

বাজার চলতি বহু ক্রিম, সিরাম উজ্জ্বল ত্বক ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি করলেও ঘরোয়া উপায়ের বিকল্প নেই। কারণ বাড়িতে তৈরি টোটকায় আর যা-ই হোক রাসায়নিক থাকে না। তাই ত্বকের জন্য তা সম্পূর্ণ নিরাপদও বটে। কালচে ছোপ তুলতে হলে বাড়িতে তেমনই এক রকম টোনার বানিয়ে নিতে পারেন।

শসার মধ্যে থাকা খনিজ, অ্যামাইনো অ্যাসিড ভিতর থেকে ত্বকের জেল্লা ধরে রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না, শসার রস প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন হিসাবে দারুণ কাজ করে। কিন্তু ত্বক থেকে রোদে পোড়া দাগ তুলতে কী ভাবে ব্যবহার করবেন?

শসার টোনার

বাজার থেকে কেনা টোনারের বদলে বাড়িতেই বানিয়ে নিন শসার টোনার। একসঙ্গে অনেকটা বানিয়ে রেখে দিতে পারেন। একটি পাত্রে জল নিয়ে তাতে শসার কয়েকটি টুকরো নিয়ে ভাল করে ফোটাতে হবে। ৫ থেকে ৭ মিনিট ফোটানোর পরে যখন মিশ্রণ ঘন হয়ে আসবে তখন নামিয়ে ছেঁকে নিন। এ বার সেই মিশ্রণে গোলাপ জল মিশিয়ে রেখে দিন। ত্বকে জ্বালা, চুলকানি হলে শসার টোনার ত্বকে শীতল অনুভূতি এনে দেবে।

শসা ভেজানো জল

একটা পাত্রে জল ভরে তাতে শসা কেটে ফেলে রাখুন। রাতভর তেমন ভাবেই থাকতে দিন সেই জল। সকালে মুখ ধোয়ার সময়ে সেই জলই ব্যবহার করুন। যদি মাস্ক মাখার সময় না হয়, তা হলে নিয়মিত শসা ভেজানো জল দিয়ে চোখ-মুখ ধুয়ে দেখুন। শসার ভিটামিন-সি আর ফলিক অ্যাসিড ত্বকের যত্ন নেবে। আপনার চোখ-মুখে যেমন আরাম হবে, তেমনই অনেক ক্ষণ ঠান্ডা ভাব বজায় থাকবে।

Advertisement
আরও পড়ুন