Insects can hear Sounds of Plants

আঘাত এলে গাছপালারা আর্তনাদ করে ওঠে, আর সেই শব্দ শুনতে পায় পতঙ্গেরা! জানাল গবেষণা

কোনও উদ্ভিদের উপর ধারাল অস্ত্রের কোপ পড়লে বা উপড়ে ফেলার চেষ্টা হলে তাদের দেহ থেকে এক ধরনের ‘আলট্রাসাউন্ড’ নির্গত হয়। খরা পরিস্থিতিতে জলের অভাব হলেও এমনটা হয়।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৫ ১৯:২১
Researchers of Israel find that plants and insects interact through ultrasound

ছবি: রয়টার্স।

প্রাণ থাকলেও তারা নীরব! উদ্ভিদজগৎ সম্পর্কে এতদিনের ধারণাটা ছিল এমনই। কিন্তু ইজ়রায়েলের তেল আভিভ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা জানাচ্ছেন এমন ধারণা ভুল। তাঁদের দাবি, কোনও রকম আঘাত এলে বা প্রতিকূল পরিবেশের মুখে পড়লে গাছেরাও আর্তনাদ করে। আর সেই সূক্ষ্মাতিসুক্ষ্ম ‘আলট্রাসাউন্ড’ শুনতে পায় পতঙ্গেরা!

Advertisement

ই-লাইফ জার্নালে প্রকাশিত নিবন্ধে ইজ়রায়েলি গবেষকেরা জানিয়েছেন, কোনও উদ্ভিদের উপর ধারাল অস্ত্রের কোপ পড়লে বা উপড়ে ফেলার চেষ্টা হলে তাদের দেহ থেকে এক ধরনের ‘আলট্রাসাউন্ড’ নির্গত হয়। খরা পরিস্থিতিতে দীর্ঘকাল ধরে জলের অভাব হলেও এমনটা হয়। মানুষ সাধারণত ২০ থেকে ২০০০০ হার্ৎজ় পর্যন্ত কম্পাঙ্কের শব্দ শুনতে পায়। কিন্তু ‘আলট্রাসাউন্ড’-এর কম্পাঙ্ক ২০০০০ হার্ৎজ়ের বেশি। তাই মানুষের শ্রবণশক্তি তার নাগাল পায় না।

তেল আভিভ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ওয়াইজ ফ্যাকাল্টি অফ লাইফ সায়েন্সেস’-এর অধ্যাপক ইয়োসি ইয়োভেল এবং লিলাচ হাদানির গবেষণাগারে উদ্ভিদ ও পতঙ্গেও ‘শব্দের আদানপ্রদান’ সংক্রান্ত ওই গবেষণার নেতৃত্ব দিয়েছেন রিয়া সেল্টজ়ার এবং গায়জ়েয় এশেল। তাঁর গবেষণাগারে টম্যাটো গাছের উপর গবেষণাটি করেন। সেখানে কিছু গাছের পর্যাপ্ত যত্ন নেওয়া হয়েছিল। কয়েকটিতে দীর্ঘ দিন জল দেওয়া হয়নি। আবার কয়েকটির বেশ কিছু পাতা ছিঁড়ে নিয়ে সালোকসংশ্লেষের হার কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যে টম্যাটো গাছগুলি পর্যাপ্ত যত্ন পেয়েছে তারা শান্ত থেকেছে। অন্যগুলি থেকে ভেসে এসেছে বিশেষ কম্পাঙ্কের ‘আলট্রাসাউন্ড’। টম্যাটো গাছের পাতায় কয়েকটি প্রজাতির স্ত্রী পতঙ্গ ডিম পাড়ে। অর্থাৎ, টম্যাটো তাদের ‘পোষক উদ্ভিদ’ (হোস্ট প্লান্ট)। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ‘আর্তনাদের শব্দ’ শুনেই কয়েকটি প্রজাতির স্ত্রী পতঙ্গেরা জলসঙ্কটে পড়া গাছগুলিকে পরিহার করেছে। বেছে নিয়েছে সুস্থ স্বাভাবিক গাছগুলিকে। বছর কয়েক আগেই জীববিজ্ঞানী লিলাচ এ সংক্রান্ত গবেষণা শুরু করেছিলেন। তাঁর মতে, শুধু পোকামাকড় নয়, বাদুড়ের মতো প্রাণীও সম্ভবত গাছেদের ‘শব্দ’ শুনতে পায়।

Advertisement
আরও পড়ুন