বৈভব সূর্যবংশী। —ফাইল চিত্র।
জল্পনা ছিল। সেটাই সত্যি হল। আরও একটি প্রতিযোগিতার ফাইনালে মুখোমুখি হবে ভারত ও পাকিস্তান। ছোটদের এশিয়া কাপে সেমিফাইনাল জিতে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে দু’দেশ। সেমিফাইনালে ভারত ৮ উইকেটে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কাকে। পাকিস্তান ৮ উইকেটে বাংলাদেশকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে।
দুবাইয়ে বৃষ্টির কারণে দু’টি সেমিফাইনালই শুরু হতে দেরি হয়েছে। ওভারও কমেছে। ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ ৫০ ওভার থেকে কমে ২০ ওভার করা হয়। পাকিস্তান-বাংলাদেশ ম্যাচ ৫০ ওভার থেকে কমে হয় ২৭ ওভার।
টস জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন ভারত অধিনায়ক আয়ুষ মাত্রে। ২০ ওভারের খেলা হওয়ায় শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাট করার চেষ্টা করেন শ্রীলঙ্কার ব্যাটারেরা। তৃতীয় ওভারে প্রথম উইকেট পড়ে তাদের। তার পর থেকে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়তে থাকে।
শ্রীলঙ্কার হয়ে মিডল অর্ডারে অধিনায়ক বিমাথ দিনসারা ও চামিকা হিনাতিগালা রান করেন। দিনসারা ৩২ ও চামিকা ৪২ রান করেন। শেষ দিকে হাত খোলেন সেথমিকা সেনেভিরত্নে। তাঁর ব্যাটে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৮ রান করে শ্রীলঙ্কা।
ভারতের পাঁচ বোলারই উইকেট পেয়েছেন। হেনিল পটেল ও কনিষ্ক চৌহান ২ করে এবং কিশন কুমার সিংহ, দীপেশ দেবেন্দ্রন ও খিলান পটেল ১ করে উইকেট নেন।
রান তাড়া করতে নেমে অধিনায়ক আয়ুষ রান পাননি। ব্যর্থ বৈভব সূর্যবংশীও। আয়ুষ করেন ৭ রান। বৈভব পর পর দু’টি চার মারলেও তৃতীয় বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরে। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তার উচিত ছিল আরও দায়িত্ব নিয়ে খেলা। ভারতীয় ক্রিকেটে খুব অল্প দিন খেলছে না সে। আইপিএলের সুবাদে বিদেশিদের সঙ্গেও সাজঘর ভাগ করেছে ১৪ বছরের ক্রিকেটার। তাকে বুঝতে হবে, প্রতি বলে বড় শট মারা যায় না। পরিস্থিতি, প্রতিপক্ষ, বোলার সব দেখতে হবে। সেটা সে যত তাড়াতাড়ি বুঝবে ততই মঙ্গল। বৈভব কয়েকটি ম্যাচে বড় রান করলেও তার ধারাবাহিকতা নেই। সফল হতে গেলে সেটা আনতে হবে বৈভবকে। নইলে রবিবার ফাইনালে সমস্যায় পড়তে পারে ভারত।
দুই ওপেনার আউট হলেও ভারতের জিততে সমস্যা হয়নি। মিডল অর্ডারে ভরসা দিলেন অ্যারন জর্জ ও বিহান মলহোত্র। জর্জ গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও ভাল খেলেছিলেন। দুই ব্যাটারই অর্ধশতরান করলেন। জর্জ ৪৯ বলে ৫৮ রানে অপরাজিত থাকলেন। সহ-অধিনায়ক বিহান করলেন ৪৫ বলে ৬১ রান। দু’ওভার বাকি থাকতে ৮ উইকেটে জিতে গেল ভারত।
অপর সেমিফাইনালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সহজ জয় পেয়েছে পাকিস্তান। তাদের জয়ের ভিত গড়ে দেন বোলারেরা। বাংলাদেশের মাত্র তিন ব্যাটার দুই অঙ্কে পৌঁছেছেন। সর্বাধিক ৩৩ রান সামিয়ান বশির রাতুলের। ২৬.৩ ওভারে ১২১ রানে অল আউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল আব্দুল সুভান। ২০ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
রান তাড়া করতে নেমে ওপেনার সমীর মিনহাসের ব্যাটে জেতে পাকিস্তান। ৬৬ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। তাঁকে সঙ্গ দেন উসমান খান। তিনি করেন ২৭ রান। মাত্র ১৪.৪ ওভারে ৮ উইকেটে ম্যাচ জিতে ভারতের বিরুদ্ধে ফাইনালে জায়গা করে নেয় পাকিস্তান।