Stampede Outside Chinnaswamy

পদপিষ্টকাণ্ডে দোষ মানছে না আরসিবি! ট্রাইবুনালের রিপোর্টের বিরোধিতা করে কর্নাটক হাইকোর্টে আবেদন কোহলির দলের

এক সপ্তাহ আগে সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল (ক্যাট) তাদের প্রাথমিক রিপোর্টে বেঙ্গালুরু পদপিষ্টকাণ্ডের জন্য আরসিবি কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছিল। সেই রিপোর্টের বিরোধিতা করে উচ্চতর আদালতে গেল আরসিবি।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৫ ১৫:১৫
cricket

আরসিবি জনতার উচ্ছ্বাসের সেই দৃশ্য। — ফাইল চিত্র।

এক সপ্তাহ আগে সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল (ক্যাট) তাদের প্রাথমিক রিপোর্টে বেঙ্গালুরু পদপিষ্টকাণ্ডের জন্য আরসিবি কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছিল। সেই রিপোর্টের বিরোধিতা করে উচ্চতর আদালতে গেল আরসিবি। মঙ্গলবার তারা কর্নাটক হাইকোর্টে আবেদন করে জানিয়েছে, ওই ঘটনার জন্য কখনওই একক ভাবে আরসিবি-কে দায়ী করা যায় না।

Advertisement

গত ৪ জুন হওয়া ওই ঘটনায় ১১ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি ৫০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হন। পুলিশ, আরসিবি এবং সরকার একে অপরের প্রতি দায় ঠেলাঠেলি করতে থাকে। অবশেষে ১ জুলাই ক্যাট তাদের প্রাথমিক রিপোর্টে জানায়, ঘটনার জন্য আরসিবি-ই দায়ী।

তবে বিরাট কোহলির দলের তরফে হাইকোর্টে হলফনামা দাখিল করে বলা হয়েছে, ক্যাট একপাক্ষিক ভাবে তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। আরসিবি-র কোনও বক্তব্য শোনাই হয়নি। তাদের বিচারপ্রক্রিয়ায় আরসিবি-কে অন্তর্ভুক্তও করা হয়নি। কী ভাবে তারা এ রকম রিপোর্ট পেশ করতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আরসিবি।

উল্লেখ্য, ট্রাইবুনাল তাদের প্রাথমিক রিপোর্টে বলেছিল, “প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা গিয়েছে, তিন থেকে পাঁচ লক্ষ মানুষের জমায়েতের পুরো দায় আরসিবি-র। তারা পুলিশের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অনুমতি নেয়নি। হঠাৎ করে সমাজমাধ্যমে এই উৎসবের কথা ঘোষণা করে দিয়েছিল তারা। তার ফলে এত ভিড় হয়েছিল।”

একেবারে শেষ মুহূর্তে আরসিবি-র এই উৎসবের ঘোষণাকে উপদ্রবের সঙ্গে তুলনা করেছিল ট্রাইবুনাল। রিপোর্টে বলা হয়েছিল, “হঠাৎ করে কারও অনুমতি ছাড়া একটা উপদ্রব সৃষ্টি করেছে আরসিবি। এত কম সময়ে, মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশের পক্ষে সব বন্দোবস্ত করা কোনও ভাবেই সম্ভব ছিল না।”

ট্রাইবুনাল আরও বলেছিল, “পুলিশকর্মীরাও তো মানুষ। তারা তো ইশ্বর বা জাদুকর নন। আলাদিনের মতো প্রদীপ ঘষে কারও মনোকামনা পূর্ণ করার মতো শক্তিও তাদের নেই। পুলিশকে নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করার মতো কোনও সময়ই দেওয়া হয়নি।”

Advertisement
আরও পড়ুন