আইসিইউ থেকে বার হওয়ার পর হাসপাতালের সাধারণ বেডে শ্রেয়স। ছবি: সমাজমাধ্যম।
তৃতীয় এক দিনের ম্যাচে ফিল্ডিং করতে চেয়ে গিয়ে চোট পেয়েছিলেন তিনি। সেই চোটের জেরে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল শ্রেয়স আয়ারকে। প্রথমে আইসিইউতে ভর্তি করানো হলেও সেখান থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ভারতীয় ব্যাটারকে। জানা গিয়েছে, শ্রেয়সের অবস্থা এখন স্থিতিশীল। রক্তক্ষরণও বন্ধ হয়েছে।
‘ক্রিকবাজ়’ জানিয়েছে, শ্রেয়স আপাতত বিপন্মুক্ত। মাটিতে সজোরে ধাক্কা খাওয়ার জন্যই রক্তক্ষরণ হয়েছে বলে মনে করা হয়েছে। সর্ব ক্ষণ শ্রেয়সের পাশে থাকার জন্য বোর্ডের তরফে চিকিৎসক রিজ়ওয়ান খানকে রেখে দেওয়া হয়েছে। বাকি দল ক্যানবেরায় চলে গিয়েছে। ‘রেভস্পোর্টজ়’-এর খবর অনুযায়ী, শ্রেয়সের চিকিৎসা নিয়ে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
শ্রেয়সের পাশে থাকার জন্য তাঁর কিছু বন্ধুও সিডনির হাসপাতালে পৌঁছেছেন। ভিসা সমস্যা মিটলে তাঁর পরিবারেরও দ্রুত সিডনি পৌঁছে যাওয়ার কথা। নতুন সপ্তাহ সবে শুরু হওয়ায় ভিসা পেতে দেরি হচ্ছে তাঁদের।
সোমবার পর্যন্ত ঠিক নেই শ্রেয়স কবে দেশে ফিরবেন। বোর্ড, দল পরিচালন সমিতি, শ্রেয়সের পরিবার— কেউই দ্রুত দেশে ফেরাতে রাজি নন। তাই আগামী কয়েক দিন তাঁকে সিডনিতেই রাখা হতে পারে। আগামী অন্তত দু’দিন হাসপাতালে থাকবেন। পুরোপুরি সুস্থ হলে তবেই দেশের বিমান ধরবেন তিনি।
ছেলের পাশে থাকতে চাইছেন বাবা সন্তোষ আয়ার এবং মা রোহিনী আয়ার। তাঁরা জরুরি ভিসার আবেদন করেছেন। বিসিসিআইয়ের এক কর্তা বলেছেন, ‘‘ওঁদের যত দ্রুত সম্ভব অস্ট্রেলিয়ায় পাঠানোর সব চেষ্টা করা হচ্ছে। বাবা-মা দু’জনেই যেতে পারবেন কিনা, এখনও নিশ্চিত নয়। তবে হাসপাতালে শ্রেয়সের কাছে পরিবারের কারও এক জনের থাকা প্রয়োজন। রবিবারই শ্রেয়সের বোনের সিডনি যাওয়ার কথা ছিল। কাগজপত্রের কাজও সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শ্রেয়সের বাবা-মায়ের এক জন তাঁর সঙ্গে যাবেন। তাই শ্রেয়সের বোন রবিবার যেতে পারেননি।’’
বিসিসিআইয়ের মেডিক্যাল টিম সোমবার সকালে জানায়, ‘‘শ্রেয়সের চোটের জায়গার স্ক্যান করানো হয়েছে। ওর প্লীহায় ক্ষত দেখা গিয়েছে। চিকিৎসা চলছে। শ্রেয়সের পরিস্থিতি স্থিতিশীল। উন্নতিও হয়েছে কিছুটা। সিডনি এবং ভারতের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে সমানে যোগাযোগ রেখে চলা হচ্ছে। তাঁদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। ভারতীয় দলের চিকিৎসক শ্রেয়সের সঙ্গেই রয়েছেন। তিনি নির্দিষ্ট সময় অন্তর পরিস্থিতি জানাচ্ছেন।’’
উল্লেখ্য, তৃতীয় এক দিনের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার অ্যালেক্স ক্যারের ক্যাচ ধরতে গিয়ে পাঁজরে লাগে শ্রেয়সের। মাঠে কিছু ক্ষণ চিকিৎসা হয়েছিল শ্রেয়সের। তার পর হেঁটেই সাজঘরে ফেরেন শ্রেয়স। কিন্তু তার পরে তাঁর শারীরিক কিছু সমস্যা দেখা দেয়। ফলে ভারতীয় দলের চিকিৎসক এবং ফিজিয়ো কোনও ঝুঁকি নেননি। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় এক দিনের দলের সহ-অধিনায়ককে। তার পর থেকে আইসিইউ-তেই রয়েছেন শ্রেয়স।