ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। ছবি: রয়টার্স।
গোল করেও সমালোচিত হলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। শুনতে হল বিদ্রুপ। স্বার্থপর তকমা পেতে হল ফুটবলপ্রেমীদের কাছে। কেউ কেউ তাঁকে নির্লজ্জও বললেন। সৌদি প্রো লিগে আল নাসেরকে জেতাতে পারলেন না পর্তুগিজ তারকা। তাঁর আচরণে চটেছেন সমর্থকদের একাংশ।
মঙ্গলবার আল ইত্তিফাকের বিরুদ্ধে আল নাসেরের ম্যাচ শেষ হয় ২-২ ব্যবধানে। লিগের প্রথম ১০টি ম্যাচে টানা জয়ের পর প্রথম পয়েন্ট হারালেন রোনাল্ডোরা। ম্যাচের ১৬ মিনিটে এগিয়ে যায় ইত্তিফাক। গোল করেন জর্জিনিয়ো উইজালডাম। ৪৭ মিনিটে আল নাসেরের হয়ে সমতা ফেরান জোয়াও ফেলিক্স। ৬৭ মিনিটে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন রোনাল্ডো। যদিও এই গোলের আসল কৃতিত্ব ফেলিক্সের। হেড দিতে গিয়ে বক্সের মধ্যে পড়ে যান সিআর সেভেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি উঠে দাঁড়ান। সেই সময় জটলার মধ্যে থেকে ফেলিক্সের শট রোনাল্ডোর পিঠে গেলে গতিপথ পরিবর্তন করে জালে ঢুকে যায়। রোনাল্ডোর গায়ে লেগে বল জালে জড়ানোয় তাঁর নামেই গোল দেন রেফারি। এই নিয়ে পেশাদার ফুটবলে ৯৫৭টি গোল হয়ে গেল তাঁর।
এই গোলের পর বিখ্যাত ‘সিউ’ উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন রোনাল্ডো। গোলের আসল কৃতিত্ব ফেলিক্সের হলেও তাঁকে ধন্যবাদ জানাতেও দেখা যায়নি রোনাল্ডোকে। তা নিয়েই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। যে গোলে তাঁর কোনও অবদান নেই, সেই গোল নিয়ে মাতামাতি ভাল ভাবে নেননি আস নাসের সমর্থকদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, স্বার্থপরের মতো আচরণ করেছেন রোনাল্ডো। ১০০০ গোলের মাইলফলকে পৌঁছোনোই এখন এক মাত্র লক্ষ্য পর্তুগাল অধিনায়কের। যদিও এই গোল আল নাসেরকে জেতাতে পারেনি। খেলা শেষ হওয়ার ১০ মিনিট আগে ইত্তিফাকের হয়ে সমতা ফেরান জর্জিনিয়ো।
গত ২৮ ডিসেম্বর পশ্চিম এশিয়ার বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার নেওয়ার পরও ১০০০ গোলের লক্ষ্য পূরণের কথা বলেছিলেন রোনাল্ডো। ৪০ বছরের ফুটবলার বলেছিলেন, ‘‘এই বয়সেও খেলা চালিয়ে যাওয়া বেশ কঠিন। তবে আমি এখনও অনুপ্রাণিত। এখনও আমি আবেগে পূর্ণ। আমি খেলা চালিয়ে যেতে চাই। এখানে বা ইউরোপে যেখানেই খেলি না কেন, চালিয়ে যেতে চাই। এখনও সমান ভাবে ফুটবল উপভোগ করি। এখনও এগোতে চাই। সকলেই জানেন, আমার লক্ষ্য কী। ট্রফি জিততে চাই এবং ১০০০ গোল করতে চাই। বড় কোনও চোট আঘাত না পেলেও আমি দুটোই অর্জন করব।’’ এই মন্তব্যের পর মঙ্গলবার তাঁর উচ্ছ্বাস ভাল ভাবে নিচ্ছেন না ফুটবলপ্রেমীদের একাংশ। তাঁদের বিদ্রুপের মুখে পড়তে হয় রোনাল্ডোকে।
সৌদি প্রো লিগের পয়েন্ট তালিকায় রোনাল্ডোরা অবশ্যই শীর্ষেই রয়েছেন। ১১ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট আল নাসেরের। সম সংখ্যক ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকায় আট নম্বরে রয়েছে আল ইত্তিফাক।