অগস্টে নতুন স্বাধীনতা এসেছে। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ সে রকমই বিশ্বাস করেন। নতুন ছেলে মেয়েদের চোখে এখন রাষ্ট্র মেরামতির স্বপ্ন। স্বপ্নের বাংলা গড়তে যেমন নির্বাচিত উন্নত প্রশাসন প্রয়োজন। তেমনই প্রয়োজন হয় কর্ম সংস্থান এবং উৎপাদন শিল্পের জোয়ার। প্রয়োজন হয় মজবুত সরকারি অর্থ ভাণ্ডার। বাংলাদেশের আর্থিক উন্নয়নের অনেকটা নির্ভর করে বিদেশি বিনিয়োগ এবং সাহায্যের উপর। কিন্তু ট্রাম্পের ক্ষমতা দখলে সিঁদুরে মেঘ দেখছে বাংলাদেশের অন্তর্বতী সরকার। বিশ্বের বাকি দেশগুলোর মতো আর্থিক কোপ পড়তে চলেছে বাংলাদেশের উপরেও। ওয়াশিংটন জানিয়েছে, আগামী তিন মাস বাংলাদেশে সব রকম অর্থনৈতিক সাহায্য স্থগিত। অর্থাৎ, ইউনাইটেড স্টেটস্ এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট বা ইউএসএআইড নামের সেচ্ছাসেবী সংস্থা বাংলাদেশকে আর এক পয়সাও অনুদান দেবে না। যার সরসারি প্রভাব পড়তে চলেছে বাংলাদেশের মধ্য এবং নিম্মবিত্তের উপর। হাজার হাজার চাকুরিজীবীর ভবিষ্যৎ সংশয়ে। নারী উন্নয়ন, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষাক্ষেত্রের একাধিক প্রকল্পের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত। ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির জন্য কী কী সমস্যায় পড়বে পড়শি দেশ? বাংলাদেশ থেকে আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে কথা বললেন গবেষক এবং লেখক আলতাফ পারভেজ।